বলিউডের নব্বই দশকের শীর্ষ অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর। তার সময়ের জনপ্রিয় এবং মোটা অংকের পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীদের একজন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, চারটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তবে সেই সময়ের শীর্ষ অভিনেত্রী হলেও আজকালকার নায়িকাদের মতো এতোটা আধুনিক সুবিধা পেতেন না সেই সময়ের নায়িকারা।
এমনকী ঝোপ ঝাড়ের ভেতর গিয়ে পোশাক বদলাতে হতো তাদের! কারিশমার কণ্ঠেও শোনা যায় সেই সময়ের অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতা।
একটি নাচের রিয়েলিটি শোয়ের আসরে গিয়ে কারিশমা বলেন, এখনকার নায়িকারা মেকআপসহ অন্যান্য কাজের জন্য ভ্যানিটি ভ্যান পেলে তাদের শুরুর সময়ে বলিউড নায়িকারা এসব ভাবতেও পারতেন না। ওই সময়ে আউটডোর শুটিংয়ে ঝোপঝাড়ের আড়ালে পোশাক বদলাতে হত তাদের।
তিনি বলেন, “মাথার উপরে খোলা আকাশ।
আড়াল বলতে ঝোপঝাড়। এভাবেই আমাদের পোশাক বদলাতে হত। এবং শুধু পোশাক বদলানোই নয়, বাথরুমে যাওয়ার দরকার পড়লেও সেই ঝোপঝাড়েই যেতে হত। মাইলের পর মাইল হেঁটে যেতে হত।
পুরো ইউনিট তখন ফিসফিস করে বলত, ‘ম্যাডাম বাথরুমে যাচ্ছেন।’ এখনকার প্রজন্ম হয়তো বিশ্বাসই করতে পারবে না।”
কারিশমা জানান, অনেক সময় শুটিং চলাকালীন অভিনেতাদের রাস্তার ধারের দোকান কিংবা কারও বাড়িতে গিয়ে অনুরোধ করতে হত জামাকাপড় বদলানোর জন্য। অভিনেত্রী বলেন, ‘আজকের দিনে ৩৫টা ট্রেলার, অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেম, ডিজিটাল মিডিয়া সবকিছু হাতের নাগালে। এই পরিবর্তন অকল্পনীয়।
কারিশমার ভাষ্যমতে, এসব ঘটনা কখনও লজ্জার এবং সব সময়েই বিরক্তির কারণ ছিল। এতে অভিনেত্রীরা কোনো কোনো সময়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তেন। তিনি বলেন, ‘তারপরেও পেশাগত দায় এবং অভিনয় ভালোবাসতাম বলে সরে আসতে পারিনি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।