জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার চলনবিল অঞ্চলে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার উৎসব। কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কায় দ্রুত ধান কেটে মাড়াই শেষে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। ফলে দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের।
এদিকে, চলতি বছর ধানের ভালো ফলন পেয়ে খুশি কৃষক। ঝড়-বৃষ্টির আগেই ধান কাটা শেষ করতে না পারলে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা থেকেই দ্রুত ধান ঘরে তোলার কাজ শুরু করেছেন বলে দাবি চাষিদের।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর পাবনা জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫৫ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয় ৫৬ হাজার ২০৭ হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৪০০ মেট্টিকটন।
রবিবার (৭ মে) সকালে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বোয়ালমারী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চলনবিলে শ্রমিকদের একদল ধান কাটায় ব্যস্ত। আরেকদল সেই ধানা মাথায় করে বাড়ি নিচ্ছেন। আবার অনেক কৃষক মাঠের পাশেই ধান মাড়াই করে বস্তায় ভরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
বোয়ালমারী গ্রামের কৃষক আনিসুল হক বলেন, অকাল বন্যা বা কালবৈশাখী ঝড় থেকে রক্ষা পেতেই আগেভাগে ধান কাটা শুরু করেছি। গতবছর এই সময় অকাল বন্যায় ধান ডুবে অনেক ক্ষতি হয়েছিল। যদি এবার ধান কাটার আগেই তেমন হয় তাহলে কৃষকরা শেষ হয়ে যাবে।
অপর কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন, শুনতেছি আগামী সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। প্রায় প্রতিদিন আকাশে মেঘ জমছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধান কেটে ঘরে তুলতে চাচ্ছি।
কয়েকজন কৃষক জানান, এবার ফলন খুব ভালো হয়েছে। বিঘায় ২০-২৫ মণ হারে ধান হয়েছে। বাজারে দামও মোটামুটি ভাল আছে। খরচ বাদে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পারবো। এবার ধান কাটায় শ্রমিক সঙ্কট নেই বলেই জানান তারা।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো। কিছুদিন হলো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। ঝড়, শিলাবৃষ্টির হাত থেকে রক্ষায় শতকরা আশি ভাগ ধান পাকলেই দ্রুত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।