বিনোদন ডেস্ক : শোবিজের গুণী অভিনেত্রী ডলি জহুর। ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট নাটক-সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দাও মাতিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে এখন আর আগের মতো পর্দায় দেখা যায় না তাকে। চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা। এবার একুশে পদক পাচ্ছেন ডলি জহুর। একুশে পদক পাওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত ডলি তিনি।
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন ডলি জহুর। এ সময় তিনি জানান, ‘জীবদ্দশায় একুশে পদক পাচ্ছি, এটাই বড় বিষয়। কারণ, অনেকেই তো মরণোত্তর পান। আমি মনে করি, যাদেরই সম্মান জানানো হোক, সেটা বেঁচে থাকতেই জানানো উচিত।
একুশে পদক পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা খুব আনন্দিত জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, আমার ছেলে হুবহু তার বাবার মতো হয়েছে। কোনো কিছুতেই খুব একটা বেশি উচ্ছ্বসিত হয় না। তবে আমার একুশে পদক প্রাপ্তির খবরে ভীষণ খুশি হয়েছে সে। আমার ছেলের বউ বিদেশ থেকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
আমার ভাগনি তার অফিসের সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছে। সে-ও আমার মেয়ের মতো। তার উচ্ছ্বাস ছিল সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া অভিনয় শিল্পীরা যেভাবে আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, আমি খুশি। এটাই ভালো লাগা। এটাই জীবনের আনন্দ।
আজীবন সম্মাননা ও একুশে পদক পাওয়ার পর জীবনে আর কোনো অপূর্ণতা আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ডলি জহুর বলেন, আমার জীবনে কোনো অপূর্ণতা নেই। আমি জীবন নিয়ে খুশি। কখনোই আমার বেশি চাওয়া ছিল না। সবসময় অল্পতেই খুশি। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৫০ পেলেও আমি খুশি থাকি।
তিনি আরও বলেন, সবসময় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আল্লাহ যেন সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। খুব বেশি আর চাওয়া নেই। অভিনয় করে কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই অনেক।
অভিনেত্রী বলেন, একজীবনে বহু নাটক-সিনেমায় নানারকম চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। তাই এখন আর অভিনয় নিয়েও বেশি চাওয়া নেই। যতদিন বেঁচে আছি, অভিনয় করে যেতে চাই। সুস্থতার জন্য সবার দোয়া চাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।