লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্তমান ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত নিজেদের হারিয়ে ফেলছি। মোবাইল আর ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি প্রতিনিয়ত। এতে আমাদের অভ্যাসের বেশ পরিবর্তন আসছে। এ বিষয়টা আমরা যতদিনে বুঝছি ততদিনে বিশাল ক্ষতি করে ফেলছি। এজন্য আমাদের কিছু অভ্যাস পরিবর্তন জরুরি। যে সব পরিবর্তন নিজের জীবন সুস্থ ও পরিবর্তন করতে বেশ সহায়তা করবে। জেনে নেওয়া যাক ৫টি অভ্যাস সম্পর্কে। যেগুলো আপনার জীবন বদলে দিতে সহায়তা করবে-
ডিজিটাল মাধ্যমে সময় কমান
আপনার স্ক্রিনের সঙ্গে সময় কমান। বিশেষ করে ঘুমের আগে ইলেক্ট্রিক মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখুন। আপনার ডিভাইস, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ফোন ঘুমানোর ঘর থেকে দূরে রাখুন।
ঘুমের ঘণ্টাখানেক আগে থেকে সবকিছু থেকে বিরতি নিন। এ সময় আপনজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, বই পড়তে পারেন। ঘুমের আগে এই ডিজিটাল ডিটক্স ঘুমের মান উন্নত করবে, মানসিক অস্থিরতা কমাবে। আপনজনদের সঙ্গেও সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।
চিনি পরিহার করুন
চিনি সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়া সবচেয়ে ভালো অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি। এর কোনো স্বাস্থ্য উপকারিতা নেই। আপনি যদি চিনি পুরোপুরিভাবে বাদ দিতে পারেন তাহলে অনেকগুলো উপকারিতা মিলবে। শরীরে প্রদাহজনিত বিভিন্ন সমস্যা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রয়োজনীয় সুগার প্রাকৃতিক মিষ্টি খাবার থেকে গ্রহণ করুন। চিনি খাওয়া বাদ দিলে তা স্বাস্থ্যকর বিপাকে সাহায্য করবে।
ব্যায়ামে মনযোগ দিন
অনেকেই আছেন যারা কিছুদিন ব্যায়াম করে পরে আবার ভুলে যান। এমনটা করা যাবে না। বরং সব সময় ধারাবাহিক থাকুন। কিছুদিন ব্যায়াম করে পরে আবার বন্ধ রাখবেন, এমনটা যেন না হয়।
সাধারণ ব্যায়ামের পাশাপাশি ভারোত্তোলনও বেশ উপকারী। বিশেষ করে এটি নারীদের জন্য বেশি সহায়ক হিসেবে কাজ করে। হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি, বিপাক বৃদ্ধি, সামগ্রিকভাবে বৃহত্তর শক্তি এবং শরীরের গঠন ইত্যাদি সাহায্য করে এ ধরনের ব্যায়াম।
বিভিন্ন ধরণের লেখার অভ্যাস
আপনার চিন্তাভাবনাগুলো তাৎক্ষণিক কাগজে লিখে ফেলুন। একটা খাতা কিংবা ডায়েরি সঙ্গে রাখুন আর মনে যা কিছু আছে, তা যখন মনে আসে লিখে ফেলুন। এতে আপনার মনের কথাগুলো যেমন ভাষা পাবে তেমন নিজের একটি স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হবে। নিয়মিত এভাবে লেখার অভ্যাস থাকলে তা মানসিক চাপ প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। মন খুলে লেখার অভ্যাস আপনাকে পেশাগত জীবনেও সফল করবে।
বই পড়ার অভ্যাস
বই পড়া কেবল একটি শখ নয়, বরং নিজের বিকাশ ও অন্যের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্কের জন্য একটি অপরিহার্য হাতিয়ার। এটি আপনার দিগন্তকে প্রশস্ত এবং ব্যক্তিত্বকে উন্নত করবে। নিয়মিত পড়ার অভ্যাস থাকলে তখন আপনি সহজে যে কোনো আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন।
প্রতিদিন পড়লে তা আপনার নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে। এই অভ্যাস আপনার শব্দভাণ্ডারকে প্রসারিত করে এবং জানার দুনিয়া বিস্তৃত করে। তখন আপনার সাধারণ কথাবার্তাও অন্যদের কাছে অসাধারণ বলে মনে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।