জুমবাংলা ডেস্ক : সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেভাল ফোর্সের একটি যুদ্ধ জাহাজ। জিম্মি হওয়া এ জাহাজকে ঘিরে ইইউ নেভির একটি হেলিকপ্টারকেও চক্কর দিতে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ‘অপারেশন আটলান্টা’ তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে আবদুল্লাহকে নিয়ে কয়েকটি ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে। ইইউ নেভাল ফোর্স সোমালিয়ান উপকূলে দস্যু বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এ অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন আটলান্টা’।
তবে আজ শুক্রবার জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘কোন ধরণের অভিযানকে আমরা সমর্থন করছি না। নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার আমাদের লক্ষ্য।
আমরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে জিম্মিদশার অবসান চাই। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। দস্যুরা আর ফোন করেনি। তবে নাবিকদের সাথে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে।’
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজটি গত তিন দিন ধরে সোমালিয়ার গোদবজিরান উপকূল থেকে মাত্র দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে। ইইউ নেভাল ফোর্সকে অভিযান থেকে বিরত রাখতে জিম্মি নাবিকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে দস্যুরা। ইইউ নেভাল ফোর্সের চাপে নাবিকদের এখন ২৪ ঘণ্টাই জাহাজের ব্রিজে অবস্থান করতে হচ্ছে।
মাঝেমধ্যে ভিএইচএফ ব্যবহার করে নৌবাহিনীকে অনুরোধও জানাতে হচ্ছে যেন কাছে না আসে। তবে জাহাজ মালিক পক্ষ ও সরকার নাবিকদের নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আগেও নেভাল ফোর্স জিম্মি জাহাজটিকে উদ্ধারে অভিযানের কথা জানালেও তাকে সম্মতি দেয়নি সরকার ও জাহাজ মালিক।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আবর আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যূদের কবলে পড়ে বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছেন।
‘কাভি খুশি কাভি গম’-এর সেই ছোট্ট ‘পু’ এখন যুবতী, টেক্কা দিবে বড় বড় নায়িকাদেরকেও
যাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটি চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠি কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্পোরেশনের। ২০ মার্চ দুপুরে জলদস্যুদের প্রথম ফোন পায় মালিকপক্ষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।