হাসিন আরমান : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাবেক শিক্ষার্থীকে চাকরির পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাই করা হয়েছে। এসময় তার থেকে চাকরির পরীক্ষার প্রবেশপত্র, টাকাপয়সা এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) কুমিল্লা শহরের চৌমুহনি এলাকার মডার্ন হাসপাতালের খানিক দূরে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. সজিব উদ্দিন।
অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে– শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে চাকরির পরীক্ষা দিতে ঢাকা যাওয়ার পথে তিনি কান্দিরপাড় থেকে একটি সিরিয়ালের সিএনজিতে ওঠেন। চৌমুহনীর আগে মডার্ন হাসপাতালের সামনের এলাকায় পৌঁছালে সিএনজিতে থাকা তিনজন যাত্রী আকস্মিকভাবে অস্ত্র বের করে তার গলায় ধরে। তারা মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এসময় শুধু এডমিট কার্ড ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করলে ছিনতাইকারীরা তা মানেনি বরং পায়ে ও নিতম্বে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি আহত হয়ে তার দুইটি সেলাই নিতে হয়। পরে ছিনতাইকারীরা দুইভাগে দুই দিকে পালিয়ে যান। এসময় সিএনজি চালকের সহযোগিতায় একজন সিএনজিতে ও অন্য তিনজন নেমে হেঁটে চলে যান।
ভুক্তভোগী মো. সজিব উদ্দিন বলেন, ‘চাকরির পরীক্ষা দিতে আমি ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা কান্দিরপাড় থেকে একটি সিএনজিতে উঠি। ওই সিএনজিতে আগে থেকেই চারজন যাত্রী ছিল। আমি উঠতেই সিএনজি ছেড়ে দেয়। কুমিল্লা মডার্ন হাসপাতালের একটু আগে পৌঁছালে একজন যাত্রী ভাড়া দেওয়ার কথা বলে, এরপর একটি শপিং ব্যাগ তাদের মধ্যে ২-৩ বার হাতবদল হয়। হঠাৎ, ব্যাগ থেকে একটি চাইনিজ চাপাতি আর একজন সুইচগিয়ার বের করে আমার গলায় ধরে। এসময় সিএনজি চালক গাড়ি থামিয়ে সামনে দাঁড়িয়ে ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিছনে বসা একজন আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ বের করে নেয়। আমি ব্যাগ দিতে একটু দেরি করলে তারা আমার উরুতে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার প্যান্ট ছিঁড়ে যায়। তবে শরীরে বড় কোনো আঘাত লাগেনি। এরপর পিছন থেকেও আরেকটি আঘাত করা হয়, যা আমার গায়ে লাগে। আমি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। লোকজন আসার আগেই তারা (অভিযুক্তরা) আমার সব নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি বারবার আমার চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার এডমিট কার্ডটি ফেরত চাইলেও তারা সেটিও নিয়ে যায়।’
সদর দক্ষিণ থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) নিয়াজ মোর্শেদ খান বলেন, ‘ঘটনাস্থলের আশেপাশের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তবে তারা কেউই এমন ঘটনা দেখেছে বলে জানাতে পারেনি। এখন ভুক্তভোগীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাবো, কারণ এলাকা অনেক বড়। ঠিক কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটা নির্দিষ্টভাবে জানতে পারলে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজগুলো পরীক্ষা করতে পারবো। ইতোমধ্যে ছিনতাই হওয়া মোবাইলগুলো ট্র্যাকিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে, আশা করি খুব দ্রুতই এগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।