স্পোর্টস ডেস্ক : রীতিমত আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে দিন কাটছে। পেনশনের টাকায় দিন চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে, দিনকয়েক আগে ঠিক এমনটাই জানিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বিনোদ কাম্বলি। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, এইমুহুর্তে নতুন কোনো কাজের সন্ধান করছেন তিনি।
তার এই বক্তব্যের পর কার্যত একটু হতবাকই হয়েছিলো দেশবাসী। পছন্দের ক্রিকেটারের আজ এ কী অবস্থা! তিনি এখন এতোটাই বাজে অবস্থায় রয়েছেন যে বিসিসিআই কর্তৃক যে পেনশন তাকে দেওয়া হয় তাতে দিন গুজরান করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে তার পক্ষে।
একসময় কাম্বলির জীবনযাত্রা চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও আজ তার পরিবার বিসিসিআই থেকে ৩০ হাজার টাকা পেনশন নিয়ে মুম্বাইতে বসবাস করছে। তবে আজকের দিনে এই টাকায় চালানো প্রায় অসম্ভব বললেই চলে। এমতাবস্থায় ক্রিকেটারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ী সন্দীপ থোরাট।
অর্থকষ্টে থাকা বিনোদ কাম্বলিকে ১ লাখ টাকার চাকরির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। যদিও ক্রিকেট সংক্রান্ত কোনও কাজ নয়, কাম্বলিকে আর্থিক হিসাবনিকাশের একটি কাজে চান তিনি। যদিও কাম্বলি ক্রিকেট নির্ভর কোনো কাজের সন্ধানে ছিলেন তাই আর্থিক হিসেব নিকাশের কাজের এই প্রস্তাবে রাজি হবেন কি না সেটা এখনও জানাননি তিনি।
সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই প্রাক্তন ক্রিকেটার MCA-এর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন কোনো সাম্মানিক চাকরি দেওয়ার জন্য। কাম্বলির কথায়, ”আমি তাদের (মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন) অনেকবার বলেছি যে, আপনাদের যদি আমাকে প্রয়োজন হয় তবে আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। অবসরের পর আপনার জন্য কোন ক্রিকেট নেই, কিন্তু টিকে থাকতে গেলে ক্রিকেট লাগবে’।
এছাড়াও মিড-ডে-এর সাথে একটি সাক্ষাৎকারে কাম্বলি বলেন, ‘আমি তাদের (মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন) বহুবার বলেছি যে, আপনাদের যদি আমার প্রয়োজন হয়, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। আমার পরিবার আছে এবং আমাকে তাদের যত্ন নিতে হবে। অবসরের পর আপনার জন্য কোন ক্রিকেট নেই, তবে আপনি যদি জীবনে স্থিতিশীলতা চান তবে আপনার অবশ্যই কাজ থাকতে হবে। আমি এমসিএ সভাপতিকে অনুরোধ করতে পারি যে আমার প্রয়োজন হলে আমি প্রস্তুত।’
এমতাবস্থায় সন্দীপ থোরাটের এই পদক্ষেপের প্রশংসা জানিয়েছেন অনেকেই। সন্দীপ থোরটের মালিকানাধীন সহ্যাদ্রি ইন্ডাস্ট্রিজের অ্যাকাউন্টসে তাকে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি এই প্রস্তাব গ্রহণ করবেন কি না সেটাই দেখার বিষয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।