আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে এক আইএএস (ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস) অফিসার চাকরিতে কোটায় নিয়োগ পাওয়ার আগেই সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা দাবি করেছিলেন। এমনকি নিয়োগ পাওয়ার পরও একজন জুনিয়র অফিসার হিসেবে যেসব সুবিধা পাওয়ার কথা নয়, সেগুলো নিয়েছেন। করেছেন ক্ষমতার অপব্যবহার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে চালু থাকা কোটা প্রথায় নিয়োগ পাওয়া পূজা খেদকার সম্প্রতি ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বদলি হয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টর হিসেবে যোগ দেওয়ার আগেই মুম্বাইয়ের পুনে জেলার ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরের কাছ থেকে পৃথক বাড়ি ও গাড়ি দাবি করেছিলেন পূজা।
পূজা খেদকার ভারতীয় প্রশাসন ক্যাডার আইএএসের ২০২৩ ব্যাচের কর্মকর্তা। সম্প্রতি তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বিলাসবহুল সেডান গাড়িতে সাইরেন, ভিআইপি নম্বর প্লেট এবং ‘মহারাষ্ট্র সরকার’ স্টিকার ব্যবহারসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। এমনকি দায়িত্ব পালনকালে অধিকার না থাকলেও তাঁকে পুনের অতিরিক্ত কালেক্টর অজয় মোরের অফিস ব্যবহার করতেও দেখা গেছে।
কেবল তাই নয়, কোটায় চাকরি পাওয়া এই অফিসার তাঁর অফিসের আসবাবপত্র অপসারণ করেছেন। অথচ এই সুবিধাগুলো কোনো জুনিয়র অফিসার পাওয়ার কথা নয়। তবে পূজার সাবেক সরকারি কর্মকর্তা বাবা তাঁর মেয়ের এসব চাহিদা পূরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের চাপ দিয়েছিলেন। পরে পুনের কালেক্টর সুহাস ডিভাসে মহারাষ্ট্র সরকারের মুখ্য সচিবের কাছে অভিযোগ করলে পূজা খেদকারকে ওয়াশিমে বদলি করা হয়।
এদিকে, পূজা খেদকারের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি ভারত সরকার নির্ধারিত ওবিসি তথা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি—কোটায় চাকরিতে নিয়োগ পান। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছাড় পেতে পূজা নিজেকে দৃষ্টি ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু তার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য যে বাধ্যতামূলক পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেন। ভারতীয় আইনে এটি বাধ্যতামূলক হলেও তিনি তা করেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, তাঁকে পাঁচবার শারীরিক অক্ষমতার বিষয়টি পরীক্ষার জন্য ডাকা হলেও তিনি সেগুলো এড়িয়ে যান। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের ক্যাডার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন পূজার নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি ট্রাইব্যুনাল তাঁর নিয়োগের বিরুদ্ধে রায় দেয়। তার পরও পূজা সিভিল সার্ভিস নিয়োগ নিশ্চিত করতে সক্ষম হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।