আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরবকে তেল উৎপাদন আরও এক মাস পর কমাতে অনুরোধ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বিষয়ে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বুধবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। খবর এনবিএস নিউজের।
রাশিয়ার স্বার্থে তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে দাবি করেছে তা ওই বিবৃতিতে প্রত্যাখ্যান করা হয়।
সৌদি আরব বলেছে, আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্বে রিয়াদ কোনো পক্ষ নিচ্ছে না অথবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।
ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তে তেলের উৎপাদন কমানো হয়েছে অর্থনৈতিক বিবেচনা থেকে, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
পাশাপাশি রিয়াদ জানিয়েছে, তেলের উৎপাদন কমানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা কয়েক সপ্তাহ পেছানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ওপেকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল।
এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণভাবে অর্থনৈতিক বিবেচনা থেকে, যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়। এ ক্ষেত্রে ভোক্তাদের স্বার্থ বিশেষভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে, যা সবসময় ওপেক প্লাস করে থাকে।
সৌদি আরব জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ওপেক প্লাস সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার প্রতি সব রাষ্ট্রের সমর্থন ছিল।
এ ছাড়া তেলের উৎপাদন কমানো বিলম্বিত করার জন্য আমেরিকা যে অনুরোধ জানিয়েছিল তা আমলে নিলে মারাত্মক নেতিবাচক অর্থনৈতিক পরিণতি ভোগ করতে হতো।
গত সপ্তাহে ওপেক প্লাস তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ওপেক প্লাসের শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী দেশ হচ্ছে সৌদি আরব। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আমেরিকা রিয়াদের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।