বিনোদন ডেস্ক: ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’খ্যাত অভিনেতা জনি ডেপের করা মানহানির মামলায় হেরে গেছেন অ্যাম্বার হার্ড। এ মামলায় অ্যাম্বারকে দেড় কোটি ডলার জরিমানা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি আদালত। এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অ্যাম্বার বলেছেন, মামলায় হারাটা হৃদয়বিদারক।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেডলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতে বিচারকরা যখন রায় পড়ছিলেন, তখন অ্যাম্বার নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এর পর রায় ঘোষণা শেষে অ্যাম্বার তার আইনজীবীদের সঙ্গে আদালত কক্ষ ছেড়ে চলে যান।
অ্যাম্বার হার্ড বলেন, এই রায়ে আমি হতাশ। এটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। অন্য নারীদের জন্য এই রায়ের অর্থ কী, তা নিয়ে আমি আরও বেশি হতাশ।
অ্যাম্বার বলেন, আমার সাবেক স্বামীর অসামঞ্জস্যপূর্ণ ক্ষমতা, প্রভাব ও প্রভুত্বের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য পাহাড়সম প্রমাণও যথেষ্ট ছিল না বলে আমি দুঃখিত।
অ্যাম্বার আরও বলেন, এ মামলা হেরে যাওয়ায় আমি দুঃখিত। তবে আমি এখনো দুঃখিত যে, আমি একটি অধিকার হারিয়ে ফেলেছি বলে মনে হচ্ছে। আমি ভেবেছিলাম একজন আমেরিকান হিসেবে আমার স্বাধীনভাবে এবং খোলামেলা কথা বলার অধিকার ছিল।
২০১৭ সালে বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় জনি ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় হার্ডের। এর পর ২০১৮ সালে দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের একটি নিবন্ধে ডেপের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন হার্ড। এতে ওই বছরই হার্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি ডলারের মানহানির মামলা করেন ডেপ। জনি ডেপ বলেন, অ্যাম্বারের ওই লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর আমার প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। উপেক্ষা করেছে হলিউড। আমি চাই সত্যটা সামনে আসুক।’
এর পর অ্যাম্বার হার্ডও ১০ কোটি ডলারের পাল্টা মামলা করেন ডেপের বিরুদ্ধে। ডেপের করা মামলার সাক্ষ্য দিতে এসে অ্যাম্বার বলেন, জনি ডেপের সঙ্গে তার প্রেম ছিল ‘জাদুর’ মতো, কিন্তু হঠাৎই সহিংস হয়ে ওঠে সব কিছু। জনি ডেপের শরীরে আঁকা একটি ট্যাটু নিয়ে প্রশ্ন করে প্রথমবার নির্যাতনের শিকার হন বলে জানান তিনি।
অভিনেত্রী বলেন, তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ট্যাটুতে কী লেখা আছে। উত্তরে ডেপ বলেছিলেন, ‘উইনো’। উত্তর শুনে হেসে ফেলেছিলেন হার্ড, ভেবেছিলেন এটা হয়তো কোনো কৌতুক। এর পরই জনি তার গালে চড় মারেন বলে অভিযোগ করেন হার্ড। হার্ড তার সাক্ষ্যে বলেন, এর পর তাকে আরও দুবার চড় মারেন জনি ডেপ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে ডেপ বলেন, তিনি কখনো অ্যাম্বার হার্ড বা কোনো নারীকে আঘাত করেননি, বরং হার্ডই অনৈতিক সুযোগ নিয়েছেন।
সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন অ্যাম্বার হার্ড। ডেপ দাবি করেন, মতের অমিল হলেই তাকে চড় কিংবা ধাক্কা দিতেন হার্ড। এমনকি একদিন মদের বোতল ছুড়ে মারেন হার্ড। এতে ডেপের ডান হাতের মধ্যমা আঙুলের ওপরের অংশ কেটে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।