জুমবাংলা ডেস্ক : জমে উঠেছে ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল।’ গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ঝালকাঠির তরুণ ব্যবসায়ী ইমন চৌধুরী শহরের ব্র্যাক মোড়ে ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল’ নামে হোটেলটি চালু করেছেন।
ঝালকঠি শহর এবং এর আশে-পাশের এলাকা থেকে এই হোটেলে ভাত খেতে আসছে অনেকে। তারা বলছেন, হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেলে খেতে পেরে তারা খুব খুশি। দূর দূরান্ত থেকেও প্রতিদিনই হোটেলটিতে ভাত খেতে আসছেন অনেকে।
এখানে আসার গ্রাহকরা জানান, ঢাকায় ডিবি কার্যালয়ে হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেলে অনেকেই দুপুরে বা রাতের খাবার খেয়েছেন। আমাদের খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। তাই আমরা ইমন ভাইয়ের হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেলে খেয়ে সেই অনুভূতি উপভোগ করার চেষ্টা করছি।
রাজাপুর থেকে রিয়াজ নামের এক তরুণ বলেন, বর্তমানে ভাইরাল একটি নামের উপরে এই হোটেলের নামকরণ হয়েছে। নামটা দেখেই এখানে দুপুরের খাবার খেতে আসা। এই হোটেলটি ঝালকাঠি জেলার পাশের জেলাগুলোতে নামের কারণে পরিচিতি পেয়েছে। কয়েকদিন ধরেই আসব আসব করেও আসা হয় না। আজকে সময় করেই দুপুরের খাবার খেতে এখানে চলে এসেছি।
তরুণ এই যুবক বলেন, হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেলের নামের পাশাপাশি এই হোটেলের খাবারের মানও ভালো। দুপুরের খাবারে অনেক কিছুই পাওয়া যায়। দামেও অন্যান্য হোটেলের চেয়ে অনেক সস্তা।
এই হোটেলের মালিক ইমন চৌধুরী বলেন, আমি ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম। আমার একটি হার্ডওয়ারের ব্যবসাও ছিল। দেশের পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায় আমি বড় ধরনের লোকসান করে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। এরপর এলাকার মুরুব্বি ও ভাইদের সাথে আলোচনা করে হোটেল ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তীতে সকলের সিদ্ধান্তে এ হোটেলের নামকরণ করা হয়েছে।
ইমন চৌধুরী আরও বলেন, নামের কারণে হোটেলে শুরু থেকেই বেচা বিক্রি অনেক ভালো হচ্ছে। তিনি বলেন, পাশের জেলা, উপজেলাগুলো থেকেও লোকজন এখানে খাবার খেতে আসছেন। হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল নামের কারণে আমার ব্যবসা খুব ভাল হচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি খাবারের মান যাতে ভালো রাখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।