জুমবাংলা ডেস্ক : অনিয়ম রোধে জমি বেচাকেনায় এলাকার পরিবর্তে মৌজা নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। পাশাপাশি শহর এলাকার জমিকে পাঁচ শ্রেণিতে ভাগ করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ফ্ল্যাট ও জমি নিবন্ধন করও কমিয়ে আনছে এনবিআর।
শিগগিরই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
বর্তমান আইনে উৎসে কর আদায়ে শহর এলাকার জমি ২০টি অঞ্চলে শ্রেণিভুক্ত। যার মধ্যে ৬টি অঞ্চল বাণিজ্যিক ও বাকিগুলো আবাসিক হিসেবে চিহ্নিত। অভিযোগ আছে, জমি বেচাকেনার মূল্য কম দেখিয়ে কর ফাঁকি দেওয়া হয়। আবার জমির শ্রেণি পরিবর্তন করেও উৎসে কর কম দেওয়া হয়।
এসব অনিয়ম বন্ধে জমির মৌজা নির্দিষ্ট করা হচ্ছে। এখন যেমন উল্লেখ থাকে ঢাকার গুলশান, বনানী, মতিঝিল ইত্যাদি এলাকা। কিন্তু এলাকাগুলোর একেক অংশ একেক মৌজায় পড়ে। এতে জটিলতা দেখা দেয়। সংশোধিত আইনে গুলশান এলাকা বলতে গুলশান থানার অন্তর্গত সকল মৌজাকে বোঝাবে। এভাবে শহরাঞ্চলের সব জমি থানা সংশ্লিষ্ট মৌজার আওতায় আসবে।
এছাড়া কর হার নির্ধারণে জমিকে পাঁচভাগে ভাগ করা হচ্ছে। ‘ক’ শ্রেণির জমি সরকারি সংস্থা নির্মিত বাণিজ্যিক এলাকা, ‘খ’ শ্রেণি সরকারি সংস্থার আবাসিক এলাকা। ‘গ’ ও ‘ঘ’ শ্রেণি হবে যথাক্রমে বেসরকারি কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যক ও আবাসিক এলাকা। এই চার শ্রেণির বাইরের জমি থাকবে ‘ঙ’ শ্রেণিতে।
হক হোমস অ্যান্ড বিল্ডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘এনবিআরের এমন উদ্যোগে অনিয়ম কিছুটা কমলেও পুরোপুরি বন্ধ হবে না।’
এনবিআরের সাবেক সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের বাজেটে ফ্ল্যাট ও জমি নিবন্ধনে কর বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করে এনবিআর। এতে কমে যায় নিবন্ধন। ব্যবসায়ীদের দাবি বিবেচনায় কর কিছুটা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।