জুমবাংলা ডেস্ক : স্বামীর মৃত্যুর পর অবশিষ্ট দুই বিঘা জমি লিখে দেন তিন ছেলেকে। কথা ছিল প্রতি মাসে প্রত্যেক ছেলে মায়ের ভরণ-পোষণ দেবেন। সে মোতাবেক ছোট ছেলে এক মাস মাকে নিজের বাড়িতে রাখেন। মাস পার হওয়ার পর অন্য ছেলেরা মাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে রাতের অন্ধকারে অসুস্থ মাকে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে উত্তেজিত গ্রামবাসীর চাপের মুখে শেষমেশ ওই বৃদ্ধার আশ্রয় হয় নাতনির বাড়িতে। ঘটনাটি গত বুধবার রাতে নাটোরের ছাতনী ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের।
গ্রামবাসী জানায়, তারাবানু নামে অশীতিপর এক বৃদ্ধা স্বামীর মৃত্যুর পরে দুই বিঘা জমি তিন ছেলের নামে লিখে দেন। পারিবারিক সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিন ছেলের কাছেই এক মাস করে থাকবেন মা। ছোট ছেলে এক মাস রাখার পর মাকে নিয়ে যাননি বড় ছেলে। দুই দিন পার হওয়ার পর বিরক্ত হয়ে রাতের আঁধারে অসুস্থ মাকে রেখে যান বাড়ির সামনে অন্ধকার রাস্তায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম বাবু জানান, ওই বৃদ্ধার বড় ছেলে মানিক, মেজো ছেলে হানিফ ও ছোট ছেলে আজাদ। তারা কেউ ওই বৃদ্ধাকে খাওয়াতে রাজি নন। পরে নাতনির কাছে ১৫ দিন খাওয়ানোর শর্তে গভীর রাতে বাসায় ফেরানো হয় তাকে।
ছাতনী ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েও কোনো সমাধান করতে পারেননি। ওই বৃদ্ধার সুষ্ঠু একটি ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ’
জেলা প্রশাসক শামিম আহমেদ জানান, ওই বৃদ্ধার নামে ভাতা রয়েছে। গ্রামবাসীর সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে সন্তানদের কাছে নয়তো তার মেয়ের কাছে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।