জমকালো আয়োজনে ৬৮তম মেয়ের বিয়ে দিলেন রুবেল

৬৮তম মেয়েকে বিয়ে

জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ায় জমকালো আয়োজনে ৬৮তম মেয়েকে বিয়ে দিলেন ব্যবসায়ী রুহুল আমিন রুবেল। তিনি নিজ খরচে এতিম, অসহায়, যাদের বাবা আর্থিক সংকটে বিয়ে দিতে পারছেন না এমন ৬৮ জন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।

৬৮তম মেয়েকে বিয়ে

শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে বগুড়া সদর উপজেলার বিদুপাড়া গ্রামে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে মাফুজার রহমানের মেয়ে মোছা. মাকছুদা খাতুনের (২২) বিয়ের মধ্য দিয়ে ৬৮তম বিয়ে সম্পন্ন হয়। বর বগুড়া সদর উপজেলার বিদুপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. রিজু হোসেন (২৬)। তিনি স্থানীয় একটি বাজারে ব্যবসা করেন। ব্যবসায়ী রুহুল আমীন রুবেল নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহফুজার রহমান একজন কৃষক। দিনমজুরি করে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছিলেন। টাকার অভাবে ঘরে উপযুক্ত মেয়ের বিয়ে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন। সপ্তাহ খানেক পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে স্থানীয়রা বড়াইগ্রাম উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রুহুল আমীন রুবেলের সন্ধান দিলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন কৃষক মাহফুজার। কৃষকের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনে বিয়ে দিন-তারিখ ঠিক করতে বলেন রুবেল। পরে শুক্রবার বরকে বরণ করে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে মাকছুদার বিয়ে দেন ব্যবসায়ী রুহুল আমীন রুবেল।

কনে মাকছুদা খাতুন বলেন, বাবার আর্থিক সমস্যায় আমার বিয়ে দেওয়া সম্ভব ছিল না। বাবার পরিশ্রমে কোনো মতে সংসার চলতো আমাদের। একজন মানবিক মানুষ এগিয়ে এসেছেন আমাদের পাশে। আমার বিয়ের সকল অর্থ দিয়েছেন তিনি। আমি এবং আমার পরিবার তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

কৃষক মাহফুজার রহমান বলেন, কখনও স্বপ্নে ভাবেননি মেয়ের এত বড় আয়োজনে বিয়ে হবে। আমার মাথায় বড় একটা বোঝা ছিল। রুহুল আমীন রুবেলের প্রতি আমি চির-কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

রুহুল আমীন রুবেল বলেন, মহান আল্লাহর রহমতে এ পর্যন্ত নিজ খরচে অসহায়, এতিম ও গরীব ৬৮টি মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন করেছি। আনুমানিক দুই সপ্তাহ পূর্বে ৬৭তম মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল।

মাটির হাড়িতে খাসির কষা মাংস রান্নার দুর্দান্ত রেসিপি

তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সাল থেকে আমি এই যাত্রা শুরু করি। সমাজের গরিব, অসহায়, এতিম মেয়েদের বিয়ের পাশাপাশি সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার আমার নিজ এলাকার দুস্থ মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করে আসছি। সাড়ে ১৭ বছর ধরে আমি এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। এ ছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঈদ, বিশেষ দিনসহ বিভিন্ন সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করি। আমার মৃত বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন সরকার বেঁচে থাকাকালীন এসব কার্যক্রম করেছেন। মানুষকে ভালোবেসেছেন। আমি আমার বাবার আদর্শ নিয়ে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন এই কার্যক্রম চলমান যেন রাখতে পারি সকলেই দোয়া করবেন।