জুমবাংলা ডেস্ক : জন্মদিনে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষার্থী সোহেল রানার। পেটে ব্যাথা ও বমি নিয়ে গতকাল ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি হয় রানা।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ভোর ৬ টায় হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
হাসপাতালে অবস্থান করা জবি শিক্ষার্থী সোহাগ বলেন, রাত তিনটা নাগাদ সোহেল বমি ও পাতলা পায়খানা করে। সে কোনো কথা বলতে পারছিল না। এটা দেখে আমি ডিউটি ডাক্তারকে বললাম আমাদের রোগী খুবই অসুস্থ আপনি একটু আসেন। কিন্তু সে না এসে বলল রোগী নিয়ে আসতে পারবেন কিনা? তখন আমি বললাম রোগী তো কথাই বলতে পারে না ও কিভাবে আসবে? তখন সে একটি স্যালাইন লিখে দিল। এবং বললো এটা এনে তাকে দিতে। সেই স্যালাইনটা ওকে দেওয়া হল। পরে সকাল ছয়টা নাগাদ ওর কোন পার্লস না পাওয়ায় আমি ডক্টরের কাছে ছুটে গেলাম। কিন্তু গিয়ে ডক্টর পেলাম না। এসে দেখি সোহেল আর নেই।
এ বিষয়ে বিভাগের ছাত্রকল্যান উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক রাফিয়া খাতুন বলেন আজ সকালে কিছু শিক্ষার্থী আমার কাছে এসেছিল। এসে তারা অভিযোগ করে রাতে নাকি সোহেলের চিকিৎসায় অবহেলা ঘটেছে। ডিউটি ডাক্তারকে ডাকার পরও তিনি আসেননি। এটি খুবই দুঃখজনক। আমি পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। এছাড়া আমাদের কিছু শিক্ষার্থী নীলফামারীতে গিয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
সোহেলের মামাতো ভাই রাইয়াদ বলেন, আমি সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ছিলাম তখনো স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। কিন্তু একটু দুর্বলতা ছিল। তখনও বমি ও পাতলা পায়খানা করছিল। সকালে শুনি সোহেল মারা গেছে।
বিভাগের চেয়ারম্যান শারমিন আখতার বলেন, আমি সকালে শুনেছি আমাদের শিক্ষার্থী সোহেল মারা গেছে। আমরা এ মৃত্যু কখনই কামনা করি না। চিকিৎসায় তার অবহেলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই।
এমন কী জিনিস যেটা করলে বাচ্চারা বেরিয়ে আসে? জানলে অবাক হবেন
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন আমরা লিখিত আকারে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখব। লিখিতভাবে অভিযোগ না দিলে আমাদের আসলে কিছুই করার নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।