বহু দিন ধরে প্রচলিত জন্মবিরতিকরণ পিল যে বেশ স্বাস্থ্যহানিকর, তা প্রমাণিত। বর্তমানে আইইউডি এবং হরমোন প্রতিস্থাপনের মতো আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ করতে উৎসাহ জোগায় চিকিৎসাবিজ্ঞান। কিন্তু এখনো পিল-ই সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রচলিত রয়েই গেছে। আবার তা খাওয়া ছেড়ে দিলেও বাজে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বলে জানায় আমেরিকার ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন।
যেকোনো সময় জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়া ছেড়ে দেওয়া যায়। তবে অনেক চিকিৎসক কিনে আনা পিলে পুরো প্যাক শেষ না করে ছড়াতে মানা করেন। কারণ পুরো কোর্স শেষ করার মাঝে ছাড়া হলে অনাকাঙ্ক্ষিত রক্তস্রাব দেখা দিতে পারে।
এসব পিলে দুই ধরনের সেক্স হরমোন থাকে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টিন। এই দুটো হরমোন একযোগ হয়ে ডিম্বোস্ফোটনে বাধা দেয়। এরা সার্ভিক্সের মধ্য দিয়ে শুক্রাণু প্রবেশে বাধা দেয়। এতে শুক্রাণু কোনো ডিম্বাণু খুঁজে পায় না। হঠাৎ করে পিল খাওয়া বাদ দিলে এর সিনথেটিক হরমোন কয়েক দিনের মধ্যে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ফলে ৪-১২ সপ্তাহের মধ্যে পিরিয়ড শুরু হয়ে যাবে।
উইল কর্নেল মেডিক্যাল কলেজের গবেষক ড. আলেক্সান্দ্রা সোয়া বলেন, পিল ছাড়ার পর শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হতে কয়ে মাস লাগবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘ডিলেইড মিনসেস’। তবে এটা দুশ্চিন্তার বিষয় নয়। তবে এর মধ্যে কদাচিৎ পিরিয়ড আর না ফিরে আসার ঘটনাও ঘটে। আরেকটি কারণে পিরিয়ডে সমস্যা হতে পারে। তা হলো, গর্ভধারণ। বহু দিন ধরে পিল খেলে গর্ভধারণ সম্ভব হয় না। কিন্তু পিল খাওয়া বন্ধ করার এক মাসের মধ্যেই গর্ভের উর্বরতা ফিরে আসে। তবে পিল ছাড়ার পর গর্ভধারণ সম্ভব হলেও দেহের হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রম আগের মতো শুরু হতে বেশ সময় লেগে যেতে পারে।
আর হরমোনের এই এলোমেলো কার্যক্রমের কারণেই নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়। পিরিয়ডজনিত ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব এবং অতিরিক্ত পিরিয়ড। এসব সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বহু নারী আবারো পিল খাওয়া শুরু করেন।
অন্যান্য সাধারণ পার্শ্বপ্রক্রিয়ার মধ্যে চুলকানি, স্তনের কোমলতা নষ্ট হওয়া, মূত্রনালীতে খিঁচ লেগে যাওয়া, মেজাজ হারানো ইত্যাদি। তবে পিল খেলে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যায়। কিন্তু পিল খাওয়া বন্ধ করলে তা ফিরে আসে ধীরে ধীরে। সূত্র : ফক্স নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।