জুমবাংলা ডেস্ক : বেড়ে ওঠা মফস্বল শহরে। পড়ালেখার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন পর্বত জয় করার। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। প্রথম ধাপেই তিনি হিমালয় জয় করলেন। নিজের জন্মস্থানকে নিয়ে গেলেন অনন্য উচ্চতায়। বলছি- কাদামাটি ও বিলের পানিবেষ্টিত এলাকায় বেড়ে ওঠা চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার আকরাম হোসেন সাবু ও সুলতানা সামিয়া পারভীন দম্পতি ছেলে আহসানুজ্জামান তৌকিরের কথা। পেশায় তরুণ এই প্রকৌশলী পর্বতারোহণে পেয়েছেন বেশ কিছু সফলতা।
জানা গেছে, গত বছর হিমালয়ের এভারেস্ট খুম্বু রিজিওনের ৬ হাজার ১৬৫ মিটার আইল্যান্ড পিক সফল অভিযানের মাধ্যমে ছয় হাজার মিটার পর্বতারোহী ক্লাবের সদস্য হন। তার এ অভিযানের সহযোগিতায় ছিল রোপ ফোর, মিশন হিমালয়া ও আরপিএসএফ। তবে স্বপ্নবাজ এই তরুণ পর্বতারোহীর এবারের অর্জন আরও বড়।
গত ১৯ এবং ২১ অক্টোবর তিনি দুটি পর্বত চূড়ায় আরোহণ করেন। ১৯ অক্টোবর বিকাল ৫টা ১৬ মিনিটে খুম্বু রিজিওনের ৫ হাজার ৭৬ মিটার উচ্চতার নাগার্জুন এবং ২১ অক্টোবর সকাল ৮টা ২১ মিনিটে ৬ হাজার ১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক পর্বতের চূড়ায় আরোহণ করে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়েছেন তৌকির।
লবুচে হাই ক্যাম্প থেকে সামিট শেষ করে আবার হাই ক্যাম্পে ফিরতে তিনি মাত্র ১০ ঘণ্টা ৫০ মিনিট সময় নেন। এ বছর তার ঝুলিতে আরও একটি অর্জন যুক্ত হয়েছে। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কমার্শিয়াল এক্সপেডিশনের দলনেতা হয়ে একটি সফল ছয় হাজার মিটার অভিযান সম্পন্ন করেছেন তৌকির।
এ অর্জন নিয়ে তার অনুভূতি জানতে চাইলে তৌকির বলেন, ‘হিমালয়ের সবগুলো পর্বত অভিযানই কষ্টসাধ্যের। প্রচণ্ড ঠান্ডা এবং ঝুঁকিপূর্ণ আরহণ শেষে যখন নিজ দেশের লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছি, তখন সব কষ্ট নিমিষেই আনন্দে রূপান্তরিত হয়ে গেছে।’
তরুণ এই পর্বতারোহীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে জানান, আগামী বছর হিমালয়ের অন্যতম কঠিন পর্বত মাউন্ট আমা দাবালাম অভিযানে যাবেন। এর জন্য প্রয়োজন পৃষ্ঠপোষকতা। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ অভিযান আরও সহজ হবে বলে মনে করেন তৌকির।
তিনি আরও জানান, ২০২৫ সালে তার মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে তৌকির নেপালে অবস্থান করছেন আরও একটি অভিযানের জন্য। অভিযান শেষে আগামী ৯ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট তৌকির। তিনি চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রিপল ই-তে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।