লাইফস্টাইল ডেস্ক : নাক ডাকার বিকট আওয়াজ খুবই বিরক্তিকর। যিনি নাক ডাকেন তিনি কোনোভাবেই বুঝতে পারেন না যে তিনি নাক ডাকছেন। পাশের মানুষটি তাকে সমস্যার কথা বললেও তিনি বিশ্বাস করতে চান না। সারা বিশ্বে পুরুষ-নারী নির্বিশেষে প্রায় ৪৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ এই সমস্যায় ভোগেন।
আমরা প্রায়ই নাক ডাকা নিয়ে হাসিঠাট্টা করলেও নাক ডাকার স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। সমীক্ষা অনুযায়ী, নাক ডাকেন এমন ব্যক্তির অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস, ধূমপান বা প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাস থাকলে ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। দেখা গেছে, বিকট শব্দে নাক ডাকা ব্যক্তির শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকির মাত্রাও বেশি। ঘুমের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
চিকিৎসকের মতে, নাক ডাকা বন্ধ করার অনেক সহজ রাস্তা আছে। বিনা ওষুধেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। আসুন জেনে নিই নাক ডাকা রোধে কিছু ঘরোয়া টোটকা-
হলুদ গুঁড়া: এক কাপ গরম দুধে ২ চা-চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় খেয়ে নিন।
মাখন: সামান্য একটু মাখন গরম করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নাসিকারন্ধ্রে লাগিয়ে নিন।
এলাচ গুঁড়া: এক গ্লাস গরম পানিতে আধ চামচ এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে, প্রতিদিন শুতে যাওয়ার আগে খেয়ে নিন।
পুদিনাপাতা: পুদিনাপাতাকে ঈষদুষ্ণ পানিতে মিশিয়ে গার্গল করুন। দেখবেন সমস্যা কমছে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে গরম পানিতে পুদিনপাতা ফেলে গরম করুন। তারপর সেই পানি ঠাণ্ডা হতে দিন। সহনযোগ্য অবস্থায় এলে গার্গল করুন।
দারচিনি: দারচিনির গুণ প্রশ্নাতীত। প্রতিদিন একগ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। তারপর সেই পানি দিয়ে করুন গার্গল।
রসুন: আয়ুর্বেদে রসুনকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। রসুন শরীর ভালো রাখার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকরী। এক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানিতে মিশিয়ে নিন রসুন। তারপর সেই পানি দিয়ে করা হোক গার্গল। দেখবেন ভালো রয়েছেন।
অলিভ তেল: ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে মাত্র কয়েকদিন এক ফোঁটা করে অলিভ তেল নাকে দিন। দেখবেন নাক ডাকার সমস্যা কমছে। কারণ এক্ষেত্রে অলিভ তেল নাকের ভিতরের অংশ পরিষ্কার করে দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।