জুমবাংলা ডেস্ক : কাঠের ঘানির সঙ্গে বাধা একটি ঘোড়া অনবরত ঘানির চারপাশে ঘুরছে। ঘানির ভেতরে সরিষা। কাঠের হাতলের চাপে সরিষা ভেঙে একটি পাত্রে অল্প অল্প করে তেল পড়ছে। এভাবেই সরিষা থেকে তেল সংগ্রহ করছেন চাষি জসিম মিয়া। চোখের সামনে ভাঙা সরিষার তেল দেখে কিনছেন পথচারীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া-সুলতানপুর সড়কের সদর উপজেলার দুবলা এলাকায় রেললাইনের পাশে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। জসিম মিয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা গ্রামের বাসিন্দা।
কৃষক জসিম মিয়া জানান, কৃষি কাজের পাশাপাশি ঘোড়া দিয়ে ঘানি টেনে সরিষার তেল সংগ্রহ করে বিক্রি করেন। দৈনিক ৫/৬ কেজি তেল সংগ্রহ হয়। এতে তার ভালোই আয় হয়। গত দেড় মাস ধরে তিনি এভাবে তেল উৎপাদন করে বিক্রি করছেন।
তিনি আরও জানান, চার মাস আগে জেলার নাসিরনগরের কোল্লাপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার কাছ থেকে ৩২ হাজার টাকা দিয়ে ঘোড়াটি কিনে এনেছেন। ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কাঠের ঘানিটি কিনে আনেন। জেলা শহর থেকে ৩ হাজার টাকা মন সরিষা কিনে এনে ঘানিতে ভাঙিয়ে তেল তৈরি করেন। এক মণ সরিষায় ১৩-১৪ কেজি তেল এবং ২৫-২৬ কেজি খৈল হয়। তেলে কোনো ক্যামিকেল মেশানো হয় না। এতে খাঁটি তেল হয় বলে তিনি দাবি করেন। প্রতি কেজি তেল ৪ শ টাকা ধরে বিক্রি করা যায়। খৈল বিক্রি হয় ৭০ টাকা কেজি। বর্তমানে তেল বিক্রির আয় দিয়ে তার ৪-৫ জনের সংসার ভালোই চলছে।
এদিকে সড়কের পাশে খোলা জায়গায় ঘানিতে তেল ভাঙায় পথচারীরা উৎসাহ নিয়ে তেল ভাঙা দেখেন। কয়েকজনকে গাড়ি থামিয়ে তেলের দরদাম করতেও দেখা যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, ঘানি ভাঙা তেল শতভাগ খাঁটি হয়। কারণ এতে কোনো ক্যামিকেল মেশানো হয় না। এতে তেলের গুণগত মান ঠিক থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।