বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের তারকা অভিনেতা সালমান খান। কিছুদনি আগেই গুজব ছিল, ফিট নেই তিনি। যদিও পরবর্তীতে সব গুজবকে পেছনে ফেলে কয়েক মাসের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে হাজির করেছিলেন নিজেকে। তবে বর্তমানে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন বলিউড ভাইজান।
সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (২১ জুন) দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ার কপিল শোয়ে নতুন সিজনের প্রথম অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন সালমান খান। সেখানেই নিজের সব শারীরিক সমস্যা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন এ নায়ক।
বলিউড তারকাকে উপস্থাপক কপিল শর্মা বিয়ে সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সালমান খান জানান, সম্পদ অর্জন করা কতটা কঠিন কাজ এবং বিয়েবিচ্ছেদের পর একজন নারী কতটা সহজেই সবকিছু নিজের করে নিতে পারেন। স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে জানান, ৫৯ বছর বয়সেও অনেক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা থাকার পরও কাজ করছেন তিনি। আর বিয়ে করলে স্ত্রী হবে, স্ত্রী যদি তার অর্ধেক টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে আবার নতুন করে শুরু করার সাহস পাবেন না।
সালমান খান বলেন, আমার প্রতিদিন ফ্র্যাকচার ব্রেক হচ্ছে, আমি ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া থাকার পরও কাজ করছি। মস্তিস্কে একটি অ্যানিউরিজম রয়েছে। তারপরও আমি এখনো কাজ করছি এবং আমি দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছি সব।
তিনি বলেন, আমার জীবনে এখন এসবই চলছে। আমার যদি মেজাজ খারাপ হয়, তাহলে আমার যা আছে তার অর্ধেক কেড়ে নেবে সে (স্ত্রী)। যদি এমনটা আমার ছোটবেলায় হতো, তাহলে ঠিক ছিল। সবকিছু ফিরে পেতে পারতাম।
ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া হচ্ছে একটি দীর্ঘস্থায়ী স্নায়ুজনিত রোগ। এটি হলে হঠাৎ তীব্র মুখে ব্যথা হয়। যা বৈদ্যুতিক শকের মতো। এটি ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুকে প্রভাবিত করে, যা মুখ থেকে মস্তিষ্কে সংবেদন প্রেরণ করে। ব্যথা সাধারণত মুখের একপাশে যেমন- চোয়াল, গাল বা চোখের চারপাশে হয়। দাঁত ব্রাশ, চিবানো বা বাতাসের মতো সাধারণ ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমেও শুরু হতে পারে এ সমস্যা।
মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম:
মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম হচ্ছে মস্তিষ্কের রক্তনালীর দুর্বল প্রাচীরের কারণে স্ফীতি বা বেলুনাকৃতি তৈরি হওয়া। যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নীরবে বিকাশ হয় এবং ফেটে না গেলে অনেক সময় লক্ষণও দেখা দেয় না। ফেটে যাওয়া অ্যানিউরিজম মস্তিষ্কে রক্তপাতের কারণ হতে পারে। যাকে হেমোরেজিক স্ট্রোক বলা হয়, যা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে।
এভি ম্যালফরমেশন:
ধমনী বিকৃতি (AV বিকৃতি বা AVM) হচ্ছে ধমনী এবং শিরার মধ্যে সংযোগের একটি বিরল সমস্যা, যা সাধারণত মস্তিষ্ক বা মেরুদণ্ডে হয়। একটি স্বাভাবিক সিস্টেমে ধমনীগুলোর টিস্যুতে রক্ত বহন করে এবং শিরাগুলি তা ফিরিয়ে নিয়ে যায়। এটিও ভয়াবহ একটি সমস্যা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।