লাইফস্টাইল ডেস্ক : বর্ষায় যে সবজিটি বেশি দেখা যায় সেটি হলো চালকুমড়া। তবে ইদানিং অন্য সময়েও কম বেশি দেখা মেলে চালকুমড়ার। এক সময় এটি ঘরের চালে হতো। কিন্তু এখন মাচায় এবং জমিতেও চাষ করা হয়। ফলনও ভালো হয়। চালকুমড়া তরকারি হিসেবে খাওয়া ছাড়াও মোরব্বা, হালুয়া ও বড়ি তৈরি করে খাওয়া যায়। এই সবজটির রয়েছে অনেক গুণ।
পুষ্টিকর এই সবজিটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা ও ফাইবার। যা যক্ষ্মা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাস্ট্রিকসহ বহু রোগের উপশম করে। তবে বয়স ধরে রাখতে বিশেষভাবে কাজ করে চালকুমড়া।
এক ঝলকে কিছু উপকারিতা-
* চালকুমড় অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসাবে পেট এবং অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশন বা আলসার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
* মসলাযুক্ত খাবার বা দীর্ঘদিনের জন্য উপবাসের কারণে পাকস্থলিতে তৈরি হওয়া এসিড দূর করতে সাহায্য করে চালকুমড়া।
* চালকুমড়া মানসিক রোগীদের জন্য পথ্য হিসেবে কাজ করে, কারণ এটি মস্তিষ্কের নার্ভ ঠাণ্ডা রাখে। এজন্য চালকুমড়াকে ব্রেইন ফুড বলা হয়।
* প্রতিদিন চালকুমড়ার রস খেলে যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ কেটে যায়। চালকুমড়া রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে।
* চালকুমড়া শরীরের ওজন ও মেদ কমাতে অনেক উপকারি একটি সবজি। এটি রক্তনালীতে রক্ত চলাচল সহজতর করে। চালকুমড়া অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবারের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়।
* মুখের ত্বক এবং চুলের যত্নেও চালকুমড়ার রস অনেক সাহায্য করে। এই সবজির রস নিয়মিত চুল ও ত্বকে মাখলে চুল চকচকে হয় এবং ত্বক সুন্দর হয়।
* এর ভেতর যে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে তা শরীরে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতেও সক্ষম। তাই বেশি পরিমাণে এই সবজিটি খেলে থাকবেন চির যৌবনা।
এছাড়া চাল কুমড়োর বিচি গ্যাস্ট্রিক রোগের উপশম করে। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা এবং প্রস্রাব অনিয়মিত হয়ে গেলে চালকুমড়া খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।