আমরা দৈনন্দিন কাজে ডেস্কটপ বা হ্যান্ডসেট এ JPG এবং JPEG ফরম্যাট এর ছবি ব্যবহার করে থাকি। সরকারি বা বেসরকারি অথবা ব্যক্তিগত কাজে এসব ছবি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পাঠাতে হয় বা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট এ আপলোড করতে হয়। কিন্তু আমরা কী কখনও ভেবে দেখেছি এই ২ ফরম্যাট এর মধ্যে পার্থক্য কোথায়? এ বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা করা হবে।
কম্পিউটার, স্মার্টফোন সহ নানা ডিভাইসে JPG এবং JPEG ফরম্যাটকে ছবির বিন্যাস হিসেবে বর্ণনা করা হয়। JPEG ফরম্যাট মূলত সামাজিক মাধ্যম, সাইট ও ক্যামেরায় ব্যবহৃত হয়।
সর্বপ্রথম ১৯৯৩ সালে JPEG ফরম্যাটের ছবি ব্যবহার করা শুর হয়। তখনও জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম Windows Xp ভার্সন চালু হয়নি। ঐ সময়ে উইন্ডোজ এ ৪ অক্ষরের ফরম্যাট সাপোর্ট করতো না বিধায় JPG এর উদ্ভব ঘটে। কেননা এটি ৩ অক্ষরের ফরম্যাট ছিলো। তবে অ্যাপল এর ডিভাইসে এ ধরনের কোন সীমাবদ্ধতা ছিলো না। তাদের ডিভাইস JPG ও JPEG উভয় ধরনের ফরম্যাট একই সাথে সাপোর্ট করতো। তবে এখন মাইক্রোসফট এর সব ডিভাইসে এ বিষয় নিয়ে কোন সীমাবদ্ধতা নেই।
এখন সব ধরনের সফটওয়ার JPG ও JPEG ২ ধরনের ফরম্যাট ব্যবহার করতে পারে। কাজেই ব্যবহারকারীদের আর এ নিয়ে তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয় না। Windows ও Mac উভয় ডিভাইসে ফরম্যাট নিয়ে কোন জটিলতা নেই।
আপনি চাইলে JPG থেকে JPEG অথবা JPEG থেকে JPG ফরম্যাটে রূপান্তর করতে পারবেন। এ বিষয়টি খুব সহজ। তবে বর্তমানে তার আর কোন প্রয়োজন নেই। কেননা এই দুই ফরম্যাটের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই এখন।
আপনি যদি ফাইলের নাম পরিবর্তন করতে চান তাহলে এক্সটেনশন এর নাম পরিবর্তন করতে হবে। কোন ফাইলের নামের শেষে JPG থাকলে সেখানে P এর পরে E যুক্ত করে দিলেই সিস্টেম JPEG ফরম্যাট হিসেবে গ্রহণ করে নিবে। আবার E বাদ দিয়ে দিলে সহজেই JPG ফরম্যাটে রূপান্তর করা যাবে। যদি অনেক ইমেজ ফাইল এর ফরম্যাটের পরিবর্তন করা দরকার হয় তাহলে সব ফাইল একসাথে সিলেক্ট করে এক্সটেনশন পরিবর্তন করতে হবে। মাইক্রোসফট ও অ্যাপল এর ডিভাইসে একই নিয়ম মেনে চলা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।