জুমবাংলা ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানা ভাঙার কথা স্বীকার করেছেন জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদ। এলাকায় অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তার নেতৃত্বে থানা ভাঙার স্বীকারোক্তি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি নিজেই। বক্তব্যের সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলার খাজানগর ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসায় চাঁদাবাজি রোধে চালকল মালিক ও স্থানীয়দের নিয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এই বক্তৃতা দেন।
৪ মিনিটের বক্তৃতার ওই ভিডিওতে মাজেদকে বলতে শোনা যায়, ‘শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই শেখ হাসিনার সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে। কুষ্টিয়ায় শেষের দিন যেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর হয়, এখানে আন্দোলনকারীরা আছে তাদের জিজ্ঞাসা করেন, কুষ্টিয়া থানা আমি মাজেদ নেতৃত্ব দিয়ে ভেঙেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার তিনটা ছেলে আমার পরিবার, আপনাদেরই ভাই আপনাদেরই চাচি। সে নিজেও এই আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত হয়েছে। আপনারা আপনাদের ছেলে পেলেদের মেরেও ঠেকাতে পারেন নাই। রক্তে যখন টান দেয়, তখন জনগণের স্রোত ঠেকানো যায় না। তাই জনগণের স্রোতে হাসিনা চলে গেছে।’
যুবদল নেতা মাজেদ বলেন, ‘আমি আপনাদের বলবো আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে কুষ্টিয়ায় আমাদের দম বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষমতা চিরস্থায়ী না। জনগণ ভোট না দিলে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারবে না। কিন্তু আমাদের দম যেন বন্ধ না হয়। হানিফ (মাহবুবউল আলম হানিফ), আতা (হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা) এবং খুনি হাসিনার মতো যেন পালাতে না হয়।’
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর কুষ্টিয়া মডেল থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চলে। অস্ত্র ও জিনিসপত্র লুটপাট ছাড়াও থানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট একটি মামলা করেন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এস এম আব্দুল আলিম।
তবে ঘটনার এক মাস পার হলেও এই মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী।
বক্তৃতার বিষয়ে জানতে জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদের ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, এই ধরনের বক্তব্য যদি তিনি দিয়ে থাকেন তাহলে ঠিক করেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।