যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মধ্যেই ভোর থেকে হামলা অব্যাহত, নিহত ৩০

gaja attack

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় টানা ১৫ মাসের সংঘাতের পর অবশেষে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা নিশ্চিত করেছেন, এই চুক্তি আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে কার্যকর হবে। তবে চুক্তি ঘোষণার পরও গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

gaja attack

গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক এবং ফিলিস্তিনি ইনফরমেশন সেন্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে।

প্যালেস্টাইনিয়ান সিভিল ডিফেন্সের মতে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের আগে ইসরায়েলি বাহিনী হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। আল-জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভোর থেকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে চালানো হামলায় অন্তত ৮২ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে, বুধবার রাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানি। তিনি জানান, ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে এই চুক্তি ১৯ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

হামাসের শীর্ষ নেতা ইজাত আল-রিশেক বলেছেন, কাতারের রাজধানী দোহায় যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে হামাসের সব শর্ত মেনে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ঘরে ফেরা এবং যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি।

https://inews.zoombangla.com/%e0%a7%ad%e0%a6%9f%e0%a6%bf-%e0%a6%aa%e0%a6%a6%e0%a7%87-%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a7%8d%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a6%ae%e0%a7%87%e0%a6%a8/

এই চুক্তি প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এই চুক্তি ‘জিম্মিদের ও তাদের পরিবারের দুঃখ-যন্ত্রণা লাঘব করবে।’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জবাবে গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞে কমপক্ষে ৪৬ হাজার ৭০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জন আহত হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। একই সময়ে হামাসের নেতৃত্বে চালানো হামলায় ইসরায়েলে কমপক্ষে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং দুই শতাধিক মানুষকে জিম্মি করা হয়।

সূত্র: আল-জাজিরা