আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের অবসানের জন্য ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছে চীন। এতে স্থান পেয়েছে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান। ইউক্রেনে আক্রমণের বর্ষপূতিতে এই প্রস্তাবগুলো এল। খবর এপি।
এই যুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো পক্ষে অবস্থান না নিলেও চীনের সঙ্গে রাশিয়ার শক্তিশালী মৈত্রী রয়েছে। বেইজিংয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কিয়েভ। অন্যদিকে ওয়াশিংটনের অবস্থান সমালোচনামূলক।
আজ শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা জানিয়েছে।
সেখানে রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অবসান, পরমাণু স্থাপনার সুরক্ষা, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য করিডোর স্থাপন ও শস্য রফতানি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংঘাতে নিজেদের নিরপেক্ষ দাবি করলেও বরাবরই ইউক্রেনে আক্রমণের নিন্দা করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে বেইজিং। কিয়েভে পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে তাদের অবস্থান সমালোচনামূলক।
চলতি সপ্তাহে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মস্কো সফর করেন। তখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ওই সময় দুই দেশের সম্পর্কের দৃঢ়তার ঘোষণা দেন।
তবে প্রস্তাবটি প্রকাশের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের শান্তি নিয়ে চীনের কথা বলা শুরু করেছে, সাধারণভাবে একে খারাপ অর্থে দেখছি না। গুরুত্বপূর্ণ যে সব দেশে আমাদের পক্ষে, ন্যায়বিচারের পক্ষে রয়েছে।
এ দিকে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, রাশিয়ার সঙ্গে মৈত্রীর অর্থ হলো তারা নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী নয়। যুক্তরাষ্ট্র ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি ছাড়া আর কিছুই চায় না। তবে চীনের প্রস্তাব গঠনমূলক পথে এগোবে কিনা তারা সন্দিহান। সঙ্গে এও জানান, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন দেশগুলো আগ্রাসন বন্ধে ভূমিকা রাখবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।