ব্যবসায়িক জগতে টিকে থাকতে শুধু পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন দৃঢ় মানসিকতা এবং সমালোচকদের কথার তোয়াক্কা না করার সাহস। এমনই এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী জুলিয়া স্টুয়ার্ট।
১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে তিনি অ্যাপলবি’স (Applebee’s)-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল—কোম্পানিকে লাভজনক করতে পারলে সিইও পদ দেওয়া হবে। জুলিয়া সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এক অসাধারণ দল গঠন করেন।
মাত্র তিন বছরের মধ্যেই তিনি কোম্পানির বিক্রি ও শেয়ারের মূল্য ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দেন। কিন্তু সাফল্যের পরও তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি কখনোই সিইও হবেন না।
এই অপমান তাকে ভেঙে না দিয়ে নতুন প্রেরণা জোগায়। তিনি অ্যাপলবি’স ছেড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ফাস্ট ফুড চেইন আইহপে (IHOP) যোগ দেন। সেখানে পাঁচ বছরের প্রচেষ্টায় তিনি ব্র্যান্ডটিকে পুনর্গঠন করে সাফল্যের শিখরে তোলেন। এরপর ২০০০ সালের দিকে তিনি সাহসী পদক্ষেপ নেন—আইহপের হয়ে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে অ্যাপলবি’স কিনে নেন।
পিপল ম্যাগাজিনের তথ্যমতে, অ্যাপলবি’স অধিগ্রহণের পর জুলিয়া তার পুরোনো বসকে ফোন করে বলেন—এখন এই কোম্পানিতে “আমাদের দুজনের” প্রয়োজন নেই। ফলে যিনি তাকে সিইও হতে দেননি, তাকেই চাকরিচ্যুত করার সুযোগ পান জুলিয়া। গত এপ্রিলে একটি পডকাস্টে সেই অভিজ্ঞতার কথাই তুলে ধরেন তিনি।
অ্যাপলবি’স কেনার পর জুলিয়া এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মূল প্রতিষ্ঠান ডাইন ব্র্যান্ডস গ্লোবাল-এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি মার্কিন রেস্টুরেন্ট চেইন বোজাঙ্গলস-এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা।
জুলিয়া স্টুয়ার্টের গল্প প্রমাণ করে—কোনো প্রতিকূলতা বা অবমূল্যায়ন একজন দূরদর্শী নেতার স্বপ্নকে থামাতে পারে না। বরং তা হয়ে উঠতে পারে জীবনের সবচেয়ে বড় মোড় ঘোরানোর অনুপ্রেরণা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।