যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যে ১৯৯৪ সালে হিমায়িত (ফ্রোজেন) করা একটি ভ্রূণ থেকে জন্ম নিয়েছে একটি শিশু। এটি এখন পর্যন্ত সংরক্ষিত ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ‘বেবি’ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
২৬ জুলাই জন্ম নেওয়া শিশুটির নাম থাডিয়াস ড্যানিয়েল পিয়ার্স। তার মা-বাবা লিন্ডসে ও টিম পিয়ার্স।
এই ভ্রূণটি মূলত লিন্ডা আর্চার্ড নামের এক নারীর ছিল যিনি ১৯৯০-এর দশকের শুরুতে সন্তান ধারণে সমস্যার কারণে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা আইভিএফ (পরীক্ষাগারে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর সংমিশ্রণে ভ্রূণ তৈরি করে গর্ভে প্রতিস্থাপন) চিকিৎসার পথ বেছে নিয়েছিলেন।
১৯৯৪ সালে ওই চিকিৎসায় চারটি ভ্রূণ তৈরি হয়। একটি প্রতিস্থাপন করা হলে তার থেকে জন্ম নেয় একটি কন্যাসন্তান, যিনি বর্তমানে ৩০ বছর বয়সী ও এক কন্যাশিশুর মা। বাকি তিনটি ভ্রূণ হিমায়িত অবস্থায় সংরক্ষণ করা হয়।
পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদের পর ভ্রূণগুলোর হেফাজত পান লিন্ডা। এরপর তিনি ‘ভ্রূণ দত্তক’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার ভ্রূণগুলো অন্য দম্পতির কাছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এই প্রক্রিয়ায় দাতা ও গ্রহীতাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ভ্রূণ গ্রহণ ও হস্তান্তর হয়। লিন্ডা চেয়েছিলেন তার ভ্রূণ যেন একটি সাদা, খ্রিস্টান ও বিবাহিত দম্পতির কাছে যায়। সেই অনুযায়ী পিয়ার্স দম্পতি ভ্রূণটি গ্রহণ করেন।
লিন্ডসে জানান, তাদের লক্ষ্য কোনো রেকর্ড গড়া ছিল না, কেবল একটি সন্তান পেতে চেয়েছিলেন। শিশুটির জন্ম কিছুটা জটিল ছিল, তবে বর্তমানে মা ও শিশু দুজনই সুস্থ আছেন।
ভ্রূণদাত্রী লিন্ডা জানান, শিশুটির ছবি দেখে প্রথমেই তার মেয়ে যখন শিশু ছিল, সেই চেহারার সঙ্গে অদ্ভুত মিল লক্ষ্য করেন। নিজের পুরনো শিশুকালের অ্যালবাম বের করে তুলনা করে তিনি নিশ্চিত হন— তারা একে অপরের ভাইবোন।
এই ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করেন জন গর্ডন নামের এক প্রজনন বিশেষজ্ঞ যিনি ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষিত ভ্রূণগুলোর সংখ্যা কমানোর উদ্যোগে কাজ করছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি ভ্রূণই জীবনের সুযোগ পাওয়ার অধিকার রাখে। আর যেসব ভ্রূণকে প্রতিস্থাপন করা হয় না, তারাই কেবল সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।