ধর্ম ডেস্ক : ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন জুমার দিন। এই দিনে এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত রয়েছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায় তা পেয়ে যায়। কিন্তু সময়টা ঠিক কখন, তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মত পাওয়া যায়।
কেউ কেউ দাবি করেন, জুমার দিনের সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়টি হলো জুমার সময় ইমাম সাহেব বসা থেকে নিয়ে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত।
আবু মুসা আল আশআরি (রা.) বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ইমামের বসা থেকে নামাজ শেষ করার মধ্যবর্তী সময়ের মধ্যে সে মুহূর্তটি নিহিত। (মুসলিম, হাদিস : ১৮৬০)
আবার কারো কারো মতে, সময়টি আসর নামাজের পর থেকে মাগরিবের নামাজের মধ্যবর্তী সময়ে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি অবহিত করি। সেখানে কাব (রা.)-ও উপস্থিত ছিলেন।
আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বলেন, আমি দোয়া কবুলের বিশেষ সময়টি সম্পর্কে জানি। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমাকে তা অবহিত করুন। তিনি বলেন, সেটি হলো জুমার দিনের সর্বশেষ সময়। আমি (আবু হুরায়রা) বললাম, জুমার দিনের সর্বশেষ সময় কেমন করে হবে? অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যেকোনো মুসলিম বান্দা সালাতরত অবস্থায় ওই সময়টি পাবে…।’
কিন্তু আপনার বর্ণনাকৃত সময়ে তো সালাত আদায় করা যায় না। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কি বলেননি, যে ব্যক্তি সালাতের জন্য বসে অপেক্ষা করবে সে সালাত আদায় না করা পর্যন্ত সালাতরত বলে গণ্য হবে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি বললাম, হ্যাঁ। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) বলেন, তা এরূপই।
(আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৬)
অতএব, আমাদের উচিত জুমার দিন এই সময়গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া।
ঘন কুয়াশায় রংপুরে বাস-মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষ, ঘটনাস্থলেই নিহত ৩
দোয়া-দরুদ, জিকির ইত্যাদিতে মশগুল থাকা। জুমার সময় তো আমরা মসজিদেই থাকি। জুমার দিন আসরের পর বেলা ডোবার সময়ও মসজিদে অবস্থান করে আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ক্ষমা চাইতে পারি এবং নিজেদের প্রয়োজনগুলো পূরণের ব্যাপারে আল্লাহর সাহায্য চাইতে পারি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।