বিনোদন ডেস্ক : বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বর্য রায় বচ্চনের কাছে প্রতিরাতে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয় জুনিয়র বচ্চনকে। যতক্ষণ-না ‘সরি’ শব্দটি তার মুখ থেকে বের হয়, ততক্ষণ চোখের পাতা এক করতে পারেন না এই রাইসুন্দরী! এদিকে ঘুম শান্তির বিষয়।
তবে সে শান্তিটা সম্পূর্ণই নির্ভর করে উক্ত ব্যক্তি ও তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর। ঘুমানোর পরিবেশ যদি ব্যক্তির অনুকূলে না থাকে, তবে চোখের পাতা এক করা দায়! তাহলে এমন কি কাণ্ড ঘটেছে যার দরুন অভিষেককে এমনটি ঘটাতে হয়!
এদিকে রাইসুন্দরীর হাত ধরে ২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল নতুন জীবন শুরু করেছিলেন অভিষেক বচ্চন। নিন্দুকেরা যদিও বলেছিলেন, এ সম্পর্ক বেশিদিন টেকার নয়। তবে ১৫ বছর পেরিয়ে এখনো অটুট এই জুটির সম্পর্ক। কিন্তু প্রতিরাতেই কেন ঐশ্বর্যের কাছে ক্ষমা চাইতে হয় জুনিয়র বচ্চনকে?
বিষয়টি আসলে খুবই সাধারণ। আর দশটা দম্পতির মতো তাদের মধ্যেও বেশ ঝগড়া হয়। যদিও এখন এর পরিমাণ অনেকাংশেই কমে গিয়েছে। তবে আগে প্রতিদিনই তাদের ঝগড়া হতো। কিন্তু বিয়ের আগে দুজনে স্থির করেছিলেন রাগের মাথায় কখনো ঘুমাতে যাবেন না। আর সে কারণেই নাকি অভিষেক ঝগড়া মিটিয়ে নেয়ার জন্য আগেভাগেই সরি বলে দিতেন।
এদিকে অভিষেক এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা সাধারণ দম্পতির মতোই ঝগড়া করতাম। তবে ঝগড়া হলেই তো প্রেম বাড়ে। তাই না? কিন্তু কথা কাটাকাটি শেষই হতো না। তাই আমরা ঠিক করেছিলাম রাগের মাথায় কিছুতেই ঘুমাতে যাব না। সে কারণেই প্রতিরাতে ভীষণ ঝগড়ার পর আমি ঐশ্বর্যকে সরি বলতাম।’
যদিও দ্য কপিল শর্মা শো-তে এসে ঐশ্বর্য জানিয়েছিলেন, সবসময় ঝগড়ার পর তিনিই সরি বলেন। পরে অভিষেক একই শো-তে এসে বলেন, ‘তাই নাকি? শো-তে এসে ওসব বলতে হয়। সরি আমিই বলি।’
ঐশ্বর্য ও অভিষেকের খুনসুটি বেশ মজার। বিয়ের রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। এমনকি তাকে চড় কষাতেও পিছপা হননি এই বিশ্বসুন্দরী। মুম্বাইয়ের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের দাবি, ঐশ্বর্যের সঙ্গে ‘পাঙ্গা’ নিতে আজও ভয় পান জুনিয়র বচ্চন। কিন্তু, এমন কী ঘটেছিল সেদিন যে সদ্য বিয়ে করার পর স্বামীকে চড় মারতে দ্বিধা করলেন না রাইসুন্দরী? মুম্বাইয়ের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, ফুলশয্যার রাতে অভিষেক ঐশ্বর্যের সঙ্গে একটু দুষ্টুমি করেছিলেন। তিনি নাকি বিছানার বেশ কিছু নাটবল্টু খুলে ফেলেছিলেন।
কাজটা কিন্তু অভিষেক ভীষণ সূক্ষ্ম কায়দায় করেছিলেন। পুরোপুরি ভেঙে যায়নি খাট। তবে কেউ ওই বিছানায় বসলে নিশ্চিতভাবে তা ভেঙে পড়ার কথা। আর অভিষেক এমনটাই চাইছিলেন! বিয়ের পর রাত্রিবেলা ক্লান্ত হয়ে অ্যাশ বিছানায় বসা মাত্রই ওই খাট হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আকস্মিক এই কাণ্ডে হতচকিত হয়েছিলেন বিশ্বসুন্দরী।
কিন্তু তার অবস্থা দেখে অভিষেক হেসে একশেষ। কেন খাট এভাবে ভেঙে পড়ল বুঝতে পেরে নাকি বেজায় চটেছিলেন বিশ্বসুন্দরী। অভিষেকের গালে আলতো করে চড়ও মেরেছিলেন বলে খবর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।