স্পোর্টস ডেস্ক : ইতিহাস গড়েই জিততে হতো নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথম সিরিজ জয়ের জন্য মেয়েদের শেষ ওয়ানডেতে করতে হতো ৩১৭ রান। কিন্তু এই রানের কাছাকাছি তো যেতেই পারেননি বাংলাদেশের মেয়েরা, উল্টো ১০০ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছে ২১৬ রানে। আর তাতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে লরা উলভার্টের দল।
মেয়েদের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ২১১ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড জ্যোতিদের। ২০১৯ সালের নভেম্বরে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। তাই প্রতিপক্ষের গড়া ৩১৬ রান টপকানো কঠিন ছিল জ্যোতিদের সামনে। কিন্তু সেই কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারলেন না বাংলাদেশের মেয়েরা।
প্রথম ২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ স্কোর বোর্ডে ৭৮ রান তুলতেই হারায় আরও ৪ উইকেট। তখনই হার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। এক রিতু মনি ছাড়া দলের কোনো ব্যাটারই বলার মতো রান করতে পারেননি। আউট হওয়ার আগে রিতু ৬৭ বলে ৪টি চারে করেছেন ৩৩ রান। রানের দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন আর মাত্র দুজন—ফাতিমা খাতুন (১৫) ও নাহিদা আক্তার (১১)। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৩১.১ ওভারে ১০০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ৩১৬ রানের পাহাড় গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। ওয়ানডেতে যা তাঁদের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে যেকোনো দলের পক্ষে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রোটিয়া মেয়েদের আগের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২৭০, যা তাঁরা করেছিলেন ২০১৮ সালে পচেফস্ট্রুমে। সেই স্কোরই তাড়া করে জিততে পারেনি বাংলাদেশ, আর এবার তো স্কোরটা আরও বড়।
দক্ষিণ আফ্রিকান মেয়েদের বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন দুই ওপেনার—লরা উলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটস। ২৪৩ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। মেয়েদের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এটিই সবচেয়ে বড় রানের জুটি।
অধিনায়ক উলভার্ট ও ব্রিটস শুরুতেই ম্যাচ থেকে জ্যোতিদের ছিটকে ফেলতে চেয়েছিলেন! ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে পাঁচের নিচে থাকা রানরেট ছয়ে উঠিয়েছে প্রথম পাওয়ার প্লের মধ্যেই। ১৪ ওভার পর্যন্ত সেই রানরেট ধরে রাখেন তাঁরা। দুই ওপেনারই পেয়েছেন সেঞ্চুরি। উলভার্টকে বোল্ড করেন মারুফা আক্তার। ১৩৪ বলে ১৩ চার ও ১ ছয়ে ১২৬ রান করেন তিনি। রিতু মনির বলে ফেরা ব্রিটস ১২৪ বলে ৮ চার ও ২ ছয়ে করেন ১১৮ রান। পরে দুটি উইকেট নেন রাবেয়া খান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।