বিনোদন ডেস্ক : আর ক’দিন পরেই মুক্তি পাচ্ছে কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু। ২০১৮ সালে এসেছিল সিনেমাটির প্রথম কিস্তি। আসতে না আসতেই বাজিমাত করেছে কন্নড় সুপারস্টার যশ অভিনীত এ সিনেমা। এত বড় হিট হবে সিনেমাটি তা হয়তো এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টও চিন্তা করেনি। বাহুবলীর পর সিনেমাটি ভারতের সব অঞ্চলে সমান জনপ্রিয়তা পায়। রাতারাতি সুপারস্টার থেকে মেগাস্টার বনে যান যশ। পুরো ভারতেই তার জয়জয়কার। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে এ সাফল্যের পেছনে কতটা পূর্বপ্রস্তুতি ছিল।
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এমন প্রশ্নের জবাবে যশ বলেন, ‘হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসার কোনো পরিকল্পনা আমার ছিল না। এখানে জায়গা করে নেয়ার জন্য আলাদা করে চেষ্টা করিনি। আমরা কেবল সিনেমাটিকে বৃহত্তর পর্যায়ে নিয়ে যেতে চেয়েছি।
উদ্দেশ্য একটাই। দর্শককে আনন্দ দেয়া।’ এক্ষেত্রে যশ তার পরিচালক প্রশান্ত নীলকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। নীলের পরিচালনার গুণেই সিনেমাটি ভালো করেছে বলে যশ মনে করেন। সিনেমার সাফল্য নিয়ে তিনি আশাবাদী ছিলেন। তবে অন্য সিনেমার সঙ্গে তুলনা করতে তিনি অনিচ্ছুক। যেমন কেজিএফের সঙ্গে ২০১৮ সালেই শাহরুখের জিরো মুক্তির প্রসঙ্গ তুললে যশ বলেন, ‘শাহরুখ খানের সিনেমা আমি বহুদিন ধরে দেখি এবং তাকে সম্মান করি। একই দিনে মুক্তি পেয়ে আমাদের সিনেমাটা ভালো করেছে বলে নিজেদের বড় ভাবি না।’
কিন্তু যশ তুলনা করতে না চাইলেও তুলনা এসে পড়ে। কেজিএফ: চ্যাপ্টার ওয়ান যখন মুক্তি পায়, তখন বাহুবলী ছাড়া তুলনা করার মতো দক্ষিণী সিনেমা ছিল না। সাম্প্রতিক পুষ্পা ও আরআরআর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ফলে কেজিএফের ওপর চাপ বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যশ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করতাম এটা (চ্যাপ্টার ওয়ান) ভালো হবে। বাহুবলী ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি। গল্পটা পৌরাণিক আর পরিচালক রাজামৌলি স্যার। কিন্তু আমরা যখন এলাম, নতুন এলেও একটা কনটেন্ট নিয়ে এসেছিলাম। আমরা অনেকটা লগান সিনেমার দলটির মতো। আমাদের রিসোর্স কম ছিল কিন্তু উদ্দেশ্য ছিল নির্দিষ্ট। আমরা জিততে এসেছিলাম।’
প্রশান্ত নীলের কাজ নিয়ে যশ খুবই উঁচু ধারণা রাখেন। তিনি জানান, চ্যাপ্টার ওয়ান মুক্তির আগে নীল খানিক দোনোমনায় ছিলেন। তিনি মনে করতেন সিনেমাটা আরো ভালো করা যেত। কিন্তু যশ তাকে বলেছিলেন নীল দারুণ কাজ করেছেন। তাই চ্যাপ্টার টু নিয়ে চাপ থাকলেও ভয় নেই। যশের মতে, ‘আমাদের একটা স্বীকৃতি প্রয়োজন ছিল। চ্যাপ্টার ওয়ানে সেটা পেয়েছি। এখন আসন্ন সিনেমাটির মান আরো উন্নত করার সুযোগ হয়েছে।’ যশ মনে করেন, মানুষ ভালো সিনেমা দেখতে চায়। সেটা কন্নড় হলেও দেখবে, স্প্যানিশ হলেও দেখবে।
চ্যাপ্টার টুতে রাভিনা ট্যান্ডন ও সঞ্জয় দত্তের উপস্থিতি নিয়েও যশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘সঞ্জয় দত্ত ও রাভিনা ম্যাম উভয়েরই সিনেমায় অবদান আছে। অধীরার চরিত্রটি সঞ্জয় দত্তের মতো করে কেউ করতে পারত না।’ রামিকা সেন চরিত্রে রাভিনার ব্যাপারেও যশের একই মত। নিজের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘একজন অভিনেতা হিসেবে এখানে আমি আমার সেরাটাই দিয়েছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।