বিনোদন ডেস্ক : কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু ১৪ই এপ্রিল ২০২২ মুক্তি পেয়েছে৷ এই ফিল্মটি রিলিজ হওয়ার অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছিল দর্শকরা। এমনকি ফিল্মটি রিলিজ হওয়ার আগে থেকেই অনেকে অগ্রিম বুকিং করে রেখেছিলেন।
কিন্তু ফিল্মটি রিলিজ হওয়ার পর দেখা গেল যে ফিল্মটির মধ্যে ৫ টি ভুল-ত্রুটি রয়েছে। ফিল্মটি রিলিজ হওয়ার পর ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে দর্শকদের কাছ থেকে। একইসাথে ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীরা বলিউডের কোনঠাসা হয়ে পড়াকে নিয়েও আলোচনা শুরু করেছে। এসবের মধ্যে বলিউডভক্তরা কেজিএফ: চ্যাপ্টার টু এর ভুল ত্রুটি খুঁজে বের করতে শুরু করেছে।
১) থানার বাইরে ফায়ারিং
ছবিতে একটি দৃশ্য রয়েছে যে রকি ভাই ৫০ গ্রাম সোনার বিস্কুট ফিরিয়ে আনতে থানায় পৌঁছায়। তখন সেখানে একটি লোক বন্দুকের ট্রায়াল নিচ্ছিল। দ্রুত গুলি চালানোর জন্য লোকটি ঘন ঘন বুলেট বক্স পরিবর্তন করছিল এবং খালি কার্তুজগুলি মাটিতে পড়তে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু একটি কার্তুজও বন্দুকের ভিতরে যেতে দেখা যায় না। যখন কার্তুজগুলো বন্দুকের ভিতর যাচ্ছিলোই না, তখন খালি কার্তুজগুলি কিভাবে পড়ছিল?
২) পুলিশের জিপটি হওয়ায় উড়ার পরও গাড়ির ভেতরের জিনিসপত্র একই রকম অবস্থায় থেকে গেল
দৃশ্যে রকি ভাইয়ের গুলি চালানোর সময় অনেক পুলিশের জিপ বাতাসে উড়ে যায়। সেই সময়ে, জীপের সামনে একটি কাঠের বেঞ্চ দেখা যায় এবং সেই বেঞ্চটির কিছু হয় না। এছাড়া ফায়ারিংয়ের সময় যখন জীপ গুলি উড়ছিল থানার ভিতরের কাগজপত্র সব ছড়িয়ে ছিটিয়ে একাকার হয়ে যায়। অথচ থানার পাশে থাকা গাছ থেকে একটি পাতাও ঝরে পড়ে না। এই বিষয়টি সত্যিই অদ্ভুত।
৩) রকেট লঞ্চার থেকে বেরোনো আগুন গেল কোথায়?
সোনা বোঝাই গাড়িগুলি যখন কেজিএফ থেকে বেরিয়ে যাছিল, সেই সময় অধিরার গুণ্ডারা রকেট লঞ্চার দিয়ে একটি ট্রাক উড়িয়ে দেয়। রকেটটি যখন লঞ্চার থেকে বেরিয়ে আসে তখন তার পেছন থেকে আগুনের শিখা দেখা যায়। কিন্তু সেই বদমাস ও আশেপাশের লোকের মুখ অব্দি আগুন যাওয়া সত্ত্বেও তাদের কিছু হলো পর্যন্ত না। এবার বিষয়টি হলো তাহলে কি তারা ফায়ার সেফটি স্যুট পরে দাঁড়িয়ে ছিলেন?
৪) রকির বদলে রিনার গুলি লাগলো কিভাবে?
অধীরা ফিল্মটিতে রকিকে দুবার শ্যুট করেছেন। প্রথমবার তিনি একটি পাহাড় থেকে লক্ষ্য করে রকিকে বুকে গুলি করেন। তখন অধিরার সঙ্গে রকির দূরত্ব অন্তত ১০০ ফুট ছিল। পাহাড়ে প্রবল বাতাস থাকা সত্ত্বেও নাকি অধিরার গুলি সঠিক জায়গায় গিয়ে লাগলো। কিন্তু তারপর অধীরা যখন রকিকে দ্বিতীয়বার গুলি করে তখন গুলিটি রীনার পেটে গিয়ে লাগে। প্রথমত, নিশানা যদি রকির ঘাড়ে বা কাঁধে থাকে তাহলে বুলেট রীনার গায়ে লাগে কীভাবে? দ্বিতীয়ত, সেই সময়ে অধীর এবং রকির মধ্যে দূরত্ব প্রায় ২০ ফুট, তাহলে অধীরা তার লক্ষ্য মিস করল কীভাবে? গল্পে আবেগময় দিক আনতে বুলেটের দিক পরিবর্তন করা হয়েছিল?
৫) কেজিএফ থেকে সব সোনা বাইরে বেরোলো কিভাবে?
ফিল্মের শেষে রকি ভাই কেজিএফ থেকে সমস্ত সোনা বের করেন এবং তারপর তাকে সমুদ্রের একটি জাহাজের মধ্যে দেখানো হয়। কেজিএফে প্রবেশের তিনটি উপায় দেখানো হয়েছে। দুটি রাস্তা রয়েছে এবং তৃতীয়টি একটি টানেল রুট হিসাবে দেখানো হয়েছে। টানেলের রুট দিয়ে আধেরা কেজিএফ-এ আসে।আর দুটি রাস্তা থেকেই ধারে সেনাবাহিনী কেজিএফের দিকে আসছিল তাই সেখান থেকে সমস্ত সোনা বের করা সম্ভব ছিল না। তাহলে রকি ভাই কি সব সোনা টানেল থেকে জাহাজে নিয়ে গেলেন? নাকি কাঁধে করে নিয়ে গেলেন? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো ছবির নির্মাতারাও ভাবেননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।