কে এই ভোলে বাবা, যার সৎসঙ্গে প্রাণ গেল শতাধিক মানুষের

vola baba

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী, আর কয়েকটি শিশু রয়েছে।

vola baba

জানা যায়, মঙ্গলবার (২ জুলাই) ওই অনুষ্ঠানে ভক্তদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ‘ভোলে বাবা’ নামে কথিত এক ধর্মগুরু। ওই সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রশ্ন ওঠেছে কে এ ধর্মগুরু, যার অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রাণ গেল শতাধিক মানুষের!

এ ‘ভোলে বাবা’ নারায়ণ সরকার হরি নামেও পরিচিত। যদিও এটি তার আসল নাম নয়। তার আসল নাম সুরাজ পাল। উত্তরপ্রদেশের ইতাহ বিভাগের বাহাদুর নগরী গ্রামে তার জন্ম। সেখানেই তিনি প্রাথমিক শিক্ষা নেন। তার দাবি, কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে গোয়েন্দা বিভাগে কাজ শুরু করেন তিনি।

এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ‘ভোলে বাবা’ প্রায়ই তার ভক্তদের কাছে দাবি করেন তিনি গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার সময়ই আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়ায় ১৯৯০ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন।

নারায়ণ সরকার হরির অন্যতম বিশেষত্ব হলো ভারতের অন্যান্য কথিত ধর্মগুরুর মতো জাফরান রঙের পোশাক পরেন না তিনি। এর বদলে পরেন সাদা স্যুট এবং টাই। এছাড়া তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে কুর্তা-পায়জামা।

ভক্তদের কাছে কথিত এ ধর্মগুরু বলেন, ভক্তরা তাকে যে অর্থ দান করেন, তার কিছুই নিজের জন্য না রেখে বরং সবটাই তার অনুসারীদের পেছনে ব্যয় করেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজেকে ভগবান হরির শিষ্য বলে অভিহিত করেন তিনি। পাশাপাশি দাবি করেন, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে তার অনেক ভক্ত আছে।

এদিকে, পুলিশের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, খুব ছোট একটি জায়গায় ‘সৎসঙ্গ’ নামে ধর্মীয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অল্প জায়গায় বহু মানুষের ভিড়ে দমবন্ধকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অনুষ্ঠানস্থলে নিঃশ্বাস নিতে না পারায় ‘সৎসঙ্গে’ উপস্থিত লোকজনের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হচ্ছিল। এরপর লোকজন সেখান থেকে সরে যেতে তাড়াহুড়ো শুরু করলে পদদলনের ঘটনা ঘটে।

পৃথিবীতে কোন দেশের মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সুন্দরী

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অনুষ্ঠানের সময় আবহাওয়া খুব বেশি গরম ও আর্দ্র ছিল। তবে সেখানকার পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল এবং এ পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল, তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।