লাইফস্টাইল ডেস্ক : ফুচকা প্রেমী নন এমন মানুষ হয়ত খুঁজে পাওয়া দুর্বিসহ। সন্ধে হলেই যেন বুকের মধ্যে ফুচকা খাওয়ার প্রবল ইচ্ছে ধুধু করে ওঠে। আর ফুচকার নাম শুনলেই মুখে আসে জল। ভারতের নানা জায়গায় ফুচকার হরেকরকম নাম। কোথাও গোলগাপ্পা, কোথাও পানি পুরি, কোথাও গুপ চুপ, কোথাও পাকোদি ইত্যাদি। তবে সন্ধ্যাবেলার ক্রেভিংয়ে এই ফুচকার জুড়ি মেলা ভার। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নাম নিয়ে এই ফুচকা অতীব জনপ্রিয়।
তবে আপনি কি জানেন আপনার এই প্রিয় খাদ্য টির উৎপত্তি কোথায়? কেই বা বানিয়েছিল ফুচকা প্রথম? যদি না জেনে থাকেন, তবে আজ আপনাদের জানাবো ফুচকার ইতিহাস। কথায় আছে, যে জিনিসের উল্লেখ মহাভারতে নেই তা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নেই। যথারীতি একইভাবে এই ফুচকার আবির্ভাব মহাভারতের সময়কালে।
জানা যায়, পাণ্ডবরা যখন নির্বাসনে ছিলেন তখন সদ্য বিবাহিতা দ্রৌপদী, কুন্তির সঙ্গে বাড়ি ফিরে আসেন। সেই সময় কুন্তী তাকে পরীক্ষা করার জন্য অল্প পরিমাণে আলু ও বেশি পরিমাণে আটা দিয়ে তার পাঁচ ছেলের ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার তৈরি করতে বলেন। তখন দ্রৌপদি একটি বড় লুচি তৈরি করেছিলেন এবং তার মাঝে আলুর পুর ভরে দিয়েছিলেন। মনে করা হয় সেটিই প্রথম ফুচকা।
আবার অনেক গবেষক মনে করেন, ফুচকার উৎপত্তি পূর্বের মগধ সাম্রাজ্য তথৈ বর্তমানে পশ্চিম মধ্য বিহারে। ততকালীন সময়ে এই ফুচকা “ফুলকি” নামে পরিচিত ছিল। এছাড়াও নানা ধরনের খাবারে সন্ধান পাওয়া যায় সেই সময় কালে। ধরা হয় পিঠে, তিবলা, ছেবরা প্রভৃতির আবিষ্কার হয়েছিল এই মগধেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।