ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রশংসার জোয়ারে ভেসেছেন তিনি, কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। আজকাল সমালোচনা যেন ছায়ার মতো তাঁর পিছু নেয়। এখন আর তাতে কান দেন না দীঘি। ফোকাস কেবল নিজের কাজ ও ভালো কিছু করার প্রতি। গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় তাঁর অভিনীত সিনেমা ‘জংলি’। এরপর তাঁকে নিয়ে নানা কাজের খবর এসেছে। সবই আনুষ্ঠানিক।
‘জংলি’তে দর্শকের ভালোবাসা
নায়িকা হওয়ার পর ভাগ্য সহায় হচ্ছিল না দীঘির। নতুন নতুন সিনেমায় যুক্ত হচ্ছিলেন ঠিকই কিন্তু বড় প্রজক্টে বা বড় সিনেমা বলতে যা বোঝায় তেমন সিনেমা আসছিল না তাঁর। ফলে বিয়ের ফটোশুট, মডেল ফটোশুট–এসব নিয়ে চর্চায় বেশি দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। ঠিক সেই সময়ে ‘জংলি’ সিনেমা দিয়ে আবারও আলোচনায় এই তরুণ নায়িকা। সিয়াম আহমেদের বিপরীতে অভিনয় করা এই ছবিতে তাঁর চরিত্র ‘নূপুর’কে ঘিরে দর্শকের আবেগ জাগ্রত হয়। দীঘি বলেন, ‘হলে গিয়ে দেখেছি, দর্শকরা কেঁদেছেন। কেউ আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন। সিনেমা নিয়ে এই ভালোবাসাই আসল প্রাপ্তি।’
সমালোচনা থেকে পরিণত ও আত্মবিশ্বাসী
নায়িকা হওয়ার পর নানা বিষয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি; যা তাঁকে সঠিকপথে চলতে সহায়তা করেছে বলে মন্তব্য নায়িকার। দীঘির ভাষ্যে, প্রতিটি সিনেমায় চরিত্রই আমার কাছে প্রধান। কারণ চরিত্রের মধ্যেই আমি আমাকে খুঁজে পাই। কাজ করলে সমালোচনা থাকবে। ওসবে আমি কখনও কান দিই না। নানা জনের কাছে নানা কিছু শুনি, তা নিয়ে কখনও মাথা ঘামাই না। যখন নতুন ছিলাম, তখন এসব খুব কষ্ট দিত। এখন বুঝি, অনেকেই অন্যকে ছোট করে নিজেকে বড় মনে করেন। তারা শোধরানোর জন্য সমালোচনা করেন না। কে ভালো চায় আর কে খারাপ চায় এখন সেটি বুঝে ফেলেছি। আমার ভুল ধরার কেউ থাকলে তিনি আমার বাবা। তিনিই আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক।
হতাশা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো
অভিনেত্রী জানান, একসময় বডি শেমিংয়ের কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ‘অসুস্থতার কারণে ওজন বেড়ে যায়, তখন মানুষ নানা কথা বলত। একসময় খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। স্টেরয়েডের ওষুধে শরীর ফুলে যেত। পরিশ্রম আর ধৈর্যে ঘুরে দাঁড়াই,’–বলেন দোয়েলকন্যা দীঘি।
নতুন কাজে ব্যস্ততা
চলতি মাসেই শুরু হয়েছে দীঘির নতুন সিনেমা ‘বিদায়’-এর শুটিং, যেখানে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ। গল্পটি মানুষের ভেতরের টানাপোড়েন ও মানবিক সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি। সুনামগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে গত শুক্রবার শুটিং শুরু হয়েছে সিনেমাটির। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত টানা শুটিং চলবে। পরে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশেও কিছু অংশের শুটিং হবে। জানা যায়, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিদেশ যাওয়াকে কেন্দ্র করে সিনেমার গল্প। সিনেমাটির প্রযোজক শাহরীন বলেন, ‘অনেকেই বলবে, আমাদের সিনেমার নায়ক কে। আমি বলব, আমাদের সিনেমার গল্পই নায়ক। এটি একটি মানবিক গল্প। একই সঙ্গে সচেতনতামূলক গল্প।
পরিবার নিয়ে দেখার মতো একটি সিনেমা হবে।’ যদিও এ সম্পর্কে দীঘি তেমন একটা জানাতে চাইলেন না। শুধু বললেন, ‘ঘটা করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সব জানাবে। আমার মুখ খোলা বারণ। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ভালো প্রজেক্ট নিয়ে কথা হচ্ছে, প্রায় চূড়ান্তও। সেসব নিয়ে এখনই বলতে চাই না। এখন আমি চাই সবসময় ভালো কাজের সঙ্গে থাকতে, ভালো ভালো কাজ করতে। শুধু কাজ নিয়েই থাকতে চাই। কোনো সমালোচনা বা আলোচনায় না, কাজের প্রতি আরও মনোযোগী থাকতে চাই।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।