লাইফস্টাইল ডেস্ক : এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যে আম খেতে পছন্দ করে না। আমাদের দেশে আমকে ফলের রাজা বলা হয়ে থাকে।মৌসুমি ফল আম কাঁচা অথবা পাকা যেভাবেই খাওয়া হোক, তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অনেক ক্ষেত্রে পাকা আমের তুলনায় কাঁচা আমের গুণ আরও বেশি।
কাঁচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় প্রচণ্ড গরমে তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। ১০০ গ্রাম কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে।
আসুন জেনে নেয়া যাক কাঁচা আমের কিছু উপকারিতা-
১. বাড়তি ওজন কমাবে কাঁচা আম:
যাঁরা ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করতে চান, তাঁদের জন্য এখন আদর্শ ফল কাঁচা আম। পাকা মিষ্টি আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে বলে এটি ক্যালরি খরচে সহায়তা করে। যারা ওজন কমাতে চান তারা কাঁচা আম নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। কারণ শরীরের চর্বি কাটতে কাঁচা আমের জুড়ি নেই। কোথাও কেটে গেলে কাঁচা আম খান। ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে যাবে।
৩. রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়:
মানব দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় কাঁচা আমে থাকা কপার। উচ্চ মাত্রার পটাশিয়াম শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এই মাত্রার পটাশিয়াম একটি কাঁচা আমে যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে।
৪. গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী:
গর্ভবতী অবস্থায় মায়েরা কাঁচা আম খেলে অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষমতা বেশি থাকে সন্তানের। ফলে জন্মানোর পর খুব কমই রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা।
৫. ছোঁয়াচে রোগ থেকে বাঁচায়:
কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি। যা মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যে কোনো ধরণের ছোঁয়াচে রোগ থেকে বাঁচায় ভিটামিন-সি। সাথে চুল, দাঁত, নখ ভালো রাখে। আর ভিটামিন-এ চোখের জন্য উপকারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।