জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে কাঁচা মরিচের আমদানি। এখন প্রতিদিনই বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। তবে আমদানি বাড়ালেও কমছে না দাম।
আমদানিকারকরা বলছেন, দাম বাড়ার কোন প্রশ্নই আসে না, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রচণ্ড গরম ও কৃষকেরা বোরো ধান কাটা মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলছেন না, তাই বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় মোকামগুলোতেই দাম বেশি।
বুধবার বেলা ১১টায় হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগে মানভেদে কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সেই কাঁচা মরিচ কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে এখন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর বন্দরে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ মানভেদে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম স্বাভাবিক রাখতে গত মাসের (২৩ মে) ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা। পেঁয়াজের মত কাঁচা মচিরে দামও ওঠানামা করছে। প্রতিকেজিতে শুল্ক দিতে হবে ৩৫ টাকা আর প্রতি মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে ২০০ মার্কিন ডলারে।
হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা অটোচালক ফিজু বলেন, আমি দুই দিন আগে ৯০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজ সেই মরিচ কিনলাম ১৫০ টাকা কেজি দরে। এভাবে প্রতিটি জিনিস দাম বাড়লেও আমাদের অটো ভাড়া বাড়ে না।
কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শেখ বিল্পব বলেন, প্রচণ্ড গরম ও ধান কাটা মাড়াই নিয়ে কৃষকেরা ব্যস্ত। তাই কৃষকেরা ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ তুলতে না পারায় বাজারে সরবরাহ কমে যাচ্ছে। একারণে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বৃদ্ধি পেলেও কমছে না দাম। বুধবার সকালে আমি পাঁচবিবি হাট থেকে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে কিনে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কাঁচা পণ্য প্রতি মনে ১ থেকে ২ কেজি কাঁচা মরিচ নষ্ট হয়ে যায়। এতে আমাদের লোকশানও গুনতে হয়। পরিবহন খরচ বাদ দিয়ে ৩ থেকে ৪ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করে থাকি। কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করে থাকি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক শাহীনুর রেজা শাহিন বলেন, বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে। আশেপাশের উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ। তবে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার কোন প্রশ্নই আসেনা। বিভিন্ন হাট বাজারের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব জানান, অনুমতি পাওয়ার পর গত ২৩ মে থেকে বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। এখন প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ একটি পচন শিল পণ্য তাই কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত ছাড়করণ করা হচ্ছে।
হিলি কাষ্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের ২৩ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত ভারতীয় ৬১টি ট্রাকে ৫২৮ মেট্রিক টন ৮৭৬ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।