বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের এক নামি পরিচালকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন পশ্চিমবাংলার অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। তারপর থেকে হামেশাই চর্চায় থাকেন তিনি।
বলিউড ও তেলুগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত নাম পায়েল। চলতি বছরের গোড়ার দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অসমাপ্ত সুইসাইড নোট পোস্ট করে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘আমি সুশান্ত নই, মরলে সবাইকে নিয়ে মরব।’
সম্প্রতি বলিউড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে ফের চর্চায় পায়েল। নায়িকা লেখেন, ‘ভাগ্যিস আমি দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির হাত ধরে পথচলা শুরু করেছিলাম। যদি আমার শুরুটা বলিউডে হতো, তাহলে সবাই আমার পোশাক খুলে পরিবেশন করতো। কারণ এখানে পরিচালকরা মেয়েদের শরীরকে বেশি ব্যবহার করে নিজেদের শিল্পসত্ত্বার চেয়ে।’
পায়েলের এই মন্তব্যে রীতিমতো শোরগোল। অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন বঙ্গতনয়ার সঙ্গে। বলিউড শুরু থেকেই মেয়েদের পণ্য হিসাবে ছবিতে তুলে ধরে বলে মত নেটিজেনদের একটা বড় অংশের।
তবে অনেকে আবার বিরোধিতা করে লেখেন, ‘কেউ কাউকে শরীর দেখাতে বাধ্য করে না, এটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’ কিছুদিন আগেই পায়েল আরও একটি বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন। তার মতে, ছবিতে কাজ পেতে প্রযোজকদের শয্যাসঙ্গী হতে হয় বলিউডে।
কাজের ক্ষেত্রে শিগগিরই মুক্তি পাবে পায়েল ঘোষ অভিনীত ‘ফায়ার অব লাভ: রেড’। পায়েল লেখেন, ‘এটা আমার ক্যারিয়ারের ১১ নম্বর ছবি। নায়িকা বলেন, ‘যদি আমি সবার সঙ্গে শুতাম, তাহলে এটা অন্ততপক্ষে ৩০ নম্বর ছবি হতো।’
ইন্ডাস্ট্রির কাস্টিং কাউচ নিয়ে পায়েল জানান, ‘বড় ছবিতে কাজ পেতে শুতে হয়। সেটা ছাড়া সম্ভবই নয় (চরিত্র পাওয়া)’।
পরেশ রাওয়ালের অনস্ক্রিন কন্যার এমন বিস্ফোরক বিবৃতি অনেকের কাছেই লাইম লাইটে আসার চেষ্টা। কেউ আবার সত্যিটা সামনে আনার সৎ সাহস দেখানোর জন্য পায়েলের প্রশংসা করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।