জুমবাংলা ডেস্ক : বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ৭টার পর থেকে রাত ৮টার মধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলার ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টি অতিক্রমের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ঝড় সিলেট বিভাগে শুরু হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের ওপর দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগে প্রবেশ করে কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে। এ সময় প্রচণ্ড শক্তিশালী বজ্রপাত ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার (১ মে) নিজের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে কানাডার সাস্কাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলা এবং ময়মনিসংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার ওপর থেকে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ ও সিলেট বিভাগের ৪টি জেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করবে।
এ ছাড়া, সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলা ত্যাগ করে কালবৈশাখী ঝড় ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলা ও ত্রিপুরা রাজ্যের সকল জেলার ওপর দিয়ে অতিক্রম করার পরে চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তর চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি জেলার ওপর দিয়ে প্রবেশ করে রাঙ্গামাটি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করবে।
কলবৈশাখী ঝড় যদি নেত্রকোনা জেলার কিছুটা পশ্চিম দিক দিয়ে অতিক্রম করা শুরু করে, তবে ময়মনসিংহ ও নরসিংদী জেলার ওপর দিয়ে কুমিল্লা জেলায় প্রবেশ করতে পারে। সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকা শহরের পূর্বদিকের থানাগুলোর ওপর দিয়ে হালকা পরিমাণ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।