কালো রঙের ডিম পাড়লো হাঁস, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য

কালো রঙের ডিম

জুমবাংলা ডেস্ক : বরগুনা সদর উপজেলায় একটি দেশি হাঁস অস্বাভাবিক ‘কালো ডিম’ পাড়ার ঘটনায় কৌতূহল শুরু হয়েছে। চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা জেলাজুড়ে।

কালো রঙের ডিম

শনিবার (২৪ জুন) উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের উত্তর ইটবাড়িয়া গ্রামের আকন বাড়িতে গেলে দেখা মেলে কালো রঙের ৪টি হাঁসের ডিমের। ওই বাড়িতে রহিম আকননের স্ত্রীর পালিত একটি হাঁস এই কালো ডিমগুলো পেড়েছে।

হাঁসটি গত চারদিন ধরে দৈনিক একটি করে চারটি কালো ডিম দেয়। কালো রঙের এই হাঁসটির প্রথম ডিম এটাই। এলাকাবাসী মনে করছেন, হাঁসটি প্রতিদিনই এরকম কালো ডিম পাড়বে।

হাঁসটির মালিক রহিম আকন বলেন, তিন মাস আগে আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছু পাতিহাঁসের বাচ্চা দেয়। এরপর থেকে স্বাভাবিক নিয়মেই বাড়িতে হাঁসগুলো লালন পালন করে আসছি। এরমধ্যে গত চার দিন ধরে একটি হাঁস কালো রঙের ডিম দিচ্ছে। এর আগে কখনো আমি এমন কালো রঙের ডিম কোথাও দেখিনি।

রহিম আকনের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা বশির উদ্দিন নিমু বলেন, আমার নানাবাড়ি থেকে হাঁসটি এনেছিলাম। বুঝতে পারছি না হাঁসটি কেন এমন কালো রঙের ডিম দিচ্ছে। আমরা একটি কালো ডিম ভেঙে দেখেছি এর ভেতরের সবকিছু অন্য ডিমের মতোই। কুসমও হলুদ। কিন্তু শুধু বাইরের আবরণ কালো।

এমন কী জিনিস যা ছেলেদের বড় হয়, কিন্তু মেয়েদের বড় হয় না?

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, কালো ডিম পাড়ার নেপথ্যে হাঁসটির জরায়ুর কোনো সমস্যা হতে পারে। সাধারণত হাঁসের জরায়ুতে ডিমের খোসাটি ১৯ ঘণ্টা থাকে। হাঁসটি যদি ধারবাহিকভাবে কালো ডিম দেওয়া অব্যাহত থাকে তাহলে এগুলো পরীক্ষাগারে পাঠালে মূল কারণ জানা যাবে। ’ অথবা হাঁসটি কালো রঙের কোন কেমিক্যাল খেয়ে ফেলায় জরায়ুর সমস্যার কারণেও ডিমগুলো কালো হতে পারে।