বিনোদন ডেস্ক : কারিনা কাপুর ও সাইফ আলি খান, বলিউডের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি। তবে একে অপরের আলোয় আলোকিত নন। দু’জনেই বলিউডের দুই আলাদা নক্ষত্র, যদিও পথ বেঁধেছেন একসঙ্গে। ২০১২ সালে বিয়ে করেন সাইফ-কারিনা। দু’জনের বয়সের তফাত ১০ বছরের। সাইফের জন্ম ১৯৭০ সালে আগস্টে, কারিনার ‘৮০ সালের সেপ্টেম্বরে।
বয়সের এতখানি তফাতই নাকি সম্পর্কের জাদু ধরে রাখে, মত সাইফের। এক সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিতভরে হেসে অভিনেতা জানান, প্রত্যেক পুরুষেরই উচিত বয়সে বেশ খানিকটা ছোট, সুন্দরী নারীকে বিয়ে করা। সাইফ এরপরই উদাহরণ দেন নিজের দাম্পত্যের। জানান, কারিনাকে বিয়ে করা তার জীবনের সবচেয়ে ভাল ব্যাপার। সাইফ বলেন, “ছেলেরা একটু দেরিতে পরিণত হয়, মেয়েরা তাড়াতাড়ি সেই জায়গায় পৌঁছে যায়।”
অভিনেতা এর আগে বিয়ে করেছিলেন অমৃতা সিংকে। সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। ২০০৮ সালে ‘তাশান’ ছবির সেটে প্রেমে পড়েন সাইফ-কারিনা। বিয়ে করেন দু’বছর পরে। তাদের প্রথম সন্তান তৈমুর পৃথিবীর আলো দেখে ২০১৬ সালে। ২০২১ সালে জন্ম হয় জাহাঙ্গীরের।
কারিনার সঙ্গে বিয়ে হওয়া প্রসঙ্গে সাইফ বলেন, “আমার জীবনে ঘটা সবচেয়ে ভাল ঘটনা এটি।”
কারিনা অবশ্য পর্দায় বেশি বয়সি নায়কের প্রেমে পড়তে আপত্তি জানিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে সাইফের সঙ্গে তার বয়সের ব্যবধান বেশি হলেও পর্দায় এমনটা না-পছন্দ তার। ২০১০ সালে ‘উই আর ফ্যামিলি’ ছবির প্রচারের সময় করন জোহর জিজ্ঞাসা করেন তাকে, “যদি এমন এক তরুণীর চরিত্র করতে হয়, যে তার চেয়ে বয়সে অনেকটা বড় কারও প্রেমে পড়েছে, করবে?”
কারিনা বলেন, “না, না। কোনও বয়স্ক মানুষের প্রেমে পড়তে চাই না।”
সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করেন করন, “কেন, তুমি কি তেমন একজনের সঙ্গেই এখন সম্পর্কে নেই? কারিনা জবাব দেন, “সাইফ আমার চেয়ে ১০ বছরের বড়, সে ঠিক আছে, কিন্তু এর চেয়ে বেশি বড় কেউ হলে আমি সামলাতে পারব না। ওর চেয়ে বেশি বয়সী হলে আগ্রহী নই।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।