জুমবাঙলা ডেস্ক : বগুড়ায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভা না করেই ফিরে আসেন। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে এই মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা ছিল।
জানা গেছে, সকালে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার বগুড়ায় আসেন। এরপর তিনি বগুড়ার শহিদদের কবর জিয়ারত করেন এবং দুপুরে শহিদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। বিকেলে সরকারি আজিজুল হক কলেজের মুক্তমঞ্চে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় আসেন মাহিন সরকার। এ সময় অপর আরেকটি গ্রুপ তাকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে মাহিন সরকারসহ অন্য নেতারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেয়া গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সমন্বয়ক হিসেবে সার্জিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহকে চিনি। অন্য কোনো সমন্বয়ককে মানি না। ওই দুই সমন্বয়ক না আসলে কোনো কর্মসূচি হবে না। এ সময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা গ্রুপ তাদের সঙ্গে বসার আহ্বান জানালে সেটি ওই গ্রুপ প্রত্যাখান করেন। পরে সেনাবাহিনী এসে মাহিন সরকারসহ অন্যান্যদের নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে বসেন।
চুইংগাম কোন প্রাণীর চর্বি দিয়ে তৈরি হয়? জানলে আর মুখে দেবেন না
বৈঠক চলাকালে কলেজ চত্বরে অপর গ্রুপ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং সমন্বয়ক মাহিন সরকারকে কলেজ চত্বর ত্যাগ করতে ১০ মিনিটের আল্টিমেটাম দেন। পরে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে মাহিন সরকার সেনাবাহিনীর সহায়তায় সাদা গাড়িতে উঠে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।