বিনোদন ডেস্ক : কঙ্গনা রনৌতের হিমাচলের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিতর্কে এবার শামিল হলেন রাজ্যের গণপূর্তমন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিংহ। তিনি খোঁচা দিয়ে বলেন, ম্যাডাম ভারী দুষ্টুমি করেন! সময়মতো বিদ্যুৎ বিল শোধ করেন না। তারপর সরকারকে দোষারোপ করেন। এভাবে কি আর চলে!
সম্প্রতি নিজের সংসদীয় এলাকা মান্ডিতে এক জনসভায় বিজেপির এমপি কঙ্গনা রনৌত হিমাচল প্রদেশের বিদ্যুতের মূল্যস্ফীতির কড়া সমালোচনা করেন। যেখানে তিনি দাবি করেন, হিমাচলের মানালিতে তার যে বাড়ি আছে, সেখানে এক মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে লাখ রুপি। বলেন, আমার মানালির বাড়িতে এক মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১ লাখ রুপি। আমি তো সেখানে থাকিই না। কতটা ভয়ংকর পরিস্থিতি!
এ সময় তিনি আরও দাবি করেন, আগে তার বিদ্যুৎ বিল আসত ৫ হাজার রুপি। এখন সেই বিল বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার রুপি। বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, আমি যেন বাড়িতে আস্ত একটা কারখানা চালাই!
কঙ্গনার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। এরপর হিমাচল প্রদেশ রাজ্য বিদ্যুৎ বোর্ড—এইচপিএসইবি এক বিবৃতি দিয়ে নিজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খণ্ডন করে। বিবৃতি অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে কোনো বিল শোধ করেননি অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য কঙ্গনা রনৌত। বকেয়া ৩২ হাজার ২৮৭ রুপি, জরিমানা ও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের বিলসহ তার বর্তমান বিদ্যুৎ বিলের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার ৩৮৪ রুপি।
কঙ্গনার কারখানাসংক্রান্ত মন্তব্যের জবাবে এইচপিএসইবি জানিয়েছে, কঙ্গনা রনৌতের মানালির সিমসা গ্রামের বাড়িতে ৯৪ দশমিক ৮২ কিলোওয়াট লোডের বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়, যা অন্য যেকোনো আবাসিক বাড়ির তুলনায় দেড় হাজার শতাংশ বেশি।
এরই জেরে সামাজিক মাধ্যমে কঙ্গনার নাম উল্লেখ না করে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টটি করেন বিক্রমাদিত্য সিংহ। তবে বরাবরের মতো চুপ করে থাকতে পারলেন না কঙ্গনা। মোটেই কৌশলী অবস্থান না নিয়ে সরাসরি কটাক্ষ করে বললেন, বিক্রমাদিত্য সিংহ যদি রাজা বাবু হন, তাহলে আমিও একজন রানি।
উল্লেখ্য, বিক্রমাদিত্য সিংহ, হিমাচলের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহ এবং রাজ্য কংগ্রেস নেত্রী প্রতিভা সিংহের ছেলে এবং রামপুর এস্টেটের বংশধর।
সূত্র: এনডিটিভি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।