বিনোদন ডেস্ক : কঙ্গনা রানাওয়াত মানেই বিতর্ক। অভিনয়ের জন্য যতটা-না সংবাদের শিরোনাম হন তিনি, তার চেয়ে বেশি হন নানা বিতর্কে জড়িয়ে। বলিউডে তিনি পরিচিত ঠোঁটকাটা স্বভাব ও সমালোচিত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত হিসেবে।
অভিনেত্রী মাত্র ৫০০ টাকা হাতে নিয়ে খুব অল্প বয়সেই হিমাচল ছেড়ে পাড়ি জমান মুম্বাই। কারও মাধ্যমে নয়, বরং নিজ গুণাবলিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত বলতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি। জীবনের উত্থান-পতন দেখেছেন। আর ধীরে ধীরে কাজের মাধ্যমে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন।
কঙ্গনা শুধু ক্যারিয়ার নয়, ব্যক্তিজীবনে অনেক ঝঞ্ঝা পাড়ি দিয়ে এ পর্যন্ত এসেছেন। অনেক আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, নিজ মা-বাবার কাছে অবাঞ্ছিত তিনি। এবার সেই বক্তব্যই ফের জোরালো করলেন অভিনেত্রীর বাবা অমরদীপ রানাওয়াত।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কঙ্গনাকে গুলি করে মারতে চেয়েছিলেন তার বাবা অমরদীপ।
বলিউডের সুপরিচিত লেখক, গীতিকার মনোজ মুনতাসিরকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানান, ছোটবেলা থেকে বাবার কাছে স্বপ্ন দেখার উৎসাহ পেয়েছেন তিনি। তবে তার সেই স্বপ্নগুলো পূরণ করার বিষয়ে তার পরিবারের সাপোর্ট পাননি। কঙ্গনার মতে, তার স্বপ্ন যখনই বড় হয়, তখন মেনে নিতে পারেননি তার বাবা।
কঙ্গনা তার পরিবারকে জানান, মুম্বাইয়ে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্নের কথা। পড়ালেখার বিপরীতে সিনেমার মতো ভিন্ন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হতে চান। তবে অভিনেত্রীর বাবা চাইতেন, চণ্ডীগড়ে নিজের পড়ালেখা চালিয়ে যাক মেয়ে। মেয়ের সিনেমায় ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত ছিল বাবার কাছে বড় ধাক্কার মতো।
এ ছাড়া আশপাশের মানুষ কী বলবে এই ভেবে ভয় পেয়েছিলেন কঙ্গনার বাবা অমরদীপ। আর এ কারণেই মেয়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তিনি।
মেধাবী ছাত্রী ছিলেন কঙ্গনা। তাই মা-বাবা কঙ্গনাকে চিকিৎসক হওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। কঙ্গনা মাধ্যমিক পাস করে চণ্ডীগড়ে যান মেডিকেলের কোচিং করতে। তবে সেই কোচিং আর করা হয়নি তার। নাম লেখালেন সুন্দরী প্রতিযোগিতায়। সেবার বিজয়ীর মুকুট উঠেছিল কঙ্গনার মাথায়ই। এর পরেই কঙ্গনা ঠিক করেন, তিনি ডাক্তারি পড়বেন না। মডেলিং করবেন।
অভিনেত্রীর ভাষ্যমতে― অন্যসব রাজপুত পরিবারের পুরুষদের মতো বাবাও রেগে গিয়ে বলেন, ‘আমার রাইফেল নিয়ে আসো। ওকে গুলি করে মেরেই ফেলব।’
অন্যদিকে কঙ্গনা পরিবারের বারণ না মেনে হাতের কাছে যা ছিল, সব নিয়ে বাড়ি থেকে সোজা চলে যান দিল্লি। সেখানে গিয়ে কী করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। থিয়েটারে ভর্তি হলেন, শিখছিলেন ফরাসি ভাষাও। এর পরে পাড়ি জমান মুম্বাই, উদ্দেশ্য বড় পর্দায় অভিনয় করা। সেখানে গিয়েই ‘গ্যাংস্টার’ ছবির জন্য অডিশন দিলেন। পেয়েও গেলেন ছবিটা। এর পর শুরু হয় কঙ্গনার জয়রথ।
শুরুতে মেয়ের সাফল্য যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না অভিনেত্রীর বাবার। তবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর কঙ্গনাকে নিয়ে গর্ববোধ করেছিলেন তিনি। বর্তমানে মেয়ের সাফল্যে তিনি গর্বিত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।