লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেকেই ফিটফাট থাকতে পছন্দ করেন। এর জন্য জামাকাপড় ইস্ত্রি ছাড়া পড়েনই না। তারা মনে করেন, পোশাক-আশাক ইস্ত্রি করা না হলে সৌন্দর্য্য তেমন একটা ফুটে উঠে না। অবশ্য অনেকেই অফিস-আদালত কিংবা অনুষ্ঠানাদিতে ইস্ত্রি করা কাপড় ছাড়া বেরই হন না।
এর জন্য সব সময় জামাকাপড় ইস্ত্রি করানোর জন্য দোকানে বা লন্ড্রিতে পাঠান। এখানে রয়েছে বিপত্তি, দোকানের ইস্ত্রি করা কাপড়ের ভাজ ঠিক থাকে না আবার কোন জায়গায় ইস্ত্রির ঘষাও লাগে না যার ফলে সেখানে কুঁচকানো ভাব থেকে যায়- এমনটা মনে করেন অনেকেই।
এ ক্ষেত্রে নিজের হাতেই তুলে নিতে হয় ইস্ত্রি আবার সময় নেই বলে বাড়ির অন্যকে নিতে হয় এ দায়িত্ব। এখানেই কাপড় পুড়িয়ে ফেলার ভয়টা কাজ করে। অনেকেই জানেন না কোন কাপড় কত তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হয়। ফলে এই না জানার কারণে পছন্দের পোশাকটি যায় নষ্ট হয়ে।
এবার জেনে নিন কোন ধরনের কাপড় কত তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করবেন-
সুতির কাপড় : ইস্ত্রি না করলে সুতির জামাকাপড় পরাই যায় না। সুন্দরভাবে ইস্ত্রি করতে চাইলে তাপমাত্রা রাখুন ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। তারপর সমানভাবে ইস্ত্রি করতে থাকুন।
পলিয়েস্টার কাপড় : ইস্ত্রির তাপমাত্রা ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে পলিয়েস্টার কাপড়ের পোশাক। তাই তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখুন।
সিল্ক : সিল্কের জামাকাপড় মানেই সেটি খুব হালকা, সূক্ষ এবং কোমল। তাই ইস্ত্রি করতে হবে খুব যত্নে, অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে। খেয়াল রাখবেন সিল্কের জামাকাপড় ইস্ত্রি করার সময় তাপমাত্রা যেন কোনভাবেই ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।
লিনেনের কাপড় : এই ধরনের ফেব্রিক সবচেয়ে বেশি কুঁচকে যায়। তাই ৪৪৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ইস্ত্রি করতে হবে লিনেনের জামাকাপড়।
সিফন জর্জেট : এই ফেব্রিক খুবই মিহি হয়। ইস্ত্রি না করলেও চলে। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন তাপমাত্রা যেন ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।
লাইক্রা : এই ধরনের ফেব্রিক ইস্ত্রি না করাই ভাল। তবে যদি ইস্ত্রি করতেই হয় সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা যেন কোনভাবেই ২৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।
রেয়ন : সুতি বা লিনেনের থেকেও কিছুটা পাতলা হয় এই ফেব্রিক। অল্পতেই কুঁচকে যায় এর তৈরি জামাকাপড়। এই ফেব্রিকে তৈরি জামাকাপড় ইস্ত্রি করার ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ৩৭৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে রাখুন।
উল : উলের পোশাক ইস্ত্রির সময় তাপমাত্রা ঠিকঠাক না থাকলে সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই উলের পোশাক ইস্ত্রির সময় তাপমাত্রা যেন কোন ভাবেই ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি না হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।