জুমবাংলা ডেস্ক : কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আল-আমিন লিটনের (৩০) সঙ্গে সাক্ষাত করতে গিয়ে গাঁজা সরবরাহ করার সময় তার খালা তসলিমা বেগম মনি (৪৫) নামের এক নারীকে আটক করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
রবিবার বিকেল ৪টায় কারা অভ্যন্তরে এক নম্বর সাক্ষাত রুমের ভেতর কারারক্ষীরা গাঁজাসহ তাকে আটক করে।
গ্রেপ্তার মনি কুমিল্লার হোমনা থানার ঘোনাইচর গ্রামের কবির হোসেনের স্ত্রী।
এ ঘটনায় রবিবার রাত ৯টায় কেরানীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মনিকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারা সূত্রে জানা গেছে, কারাগারের ভেতর রুপসা সেলে বন্দী লিটনের সঙ্গে খালা পরিচয়ে দেখা করতে আসেন মনি আক্তার। এ সময় তার সঙ্গে পাঁচ বছর বয়সের নাতনী ছিল। তিনি কারাগারের এক নম্বর সাক্ষাত কক্ষে প্রবেশ করেন। লিটনের সঙ্গে মনির কথা বলার সময় কারারক্ষী রোজি খাতুনের সন্দেহ হয়। তিনি মনি আক্তারের দেহ তল্লাশি করে ১২০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত নারীকে আটক করা হয়। পরে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে গাজীপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা পাঁচ বছরের নাতনীর কোনো নির্ভরযোগ্য অভিভাবক না পাওয়ায় শিশুটিকে তার সঙ্গে কারাগারে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজা ঢাকা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শাহজালাল ভুইয়ার উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।