জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরের কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গতকাল মঙ্গলবার পালানোর সময় কারা রক্ষীদের গুলিতে ছয় বন্দি নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- মৌলভীবাজারের রামেশ্বপুর মকবুল মিয়ার ছেলে হত্যা মামলার আসামি ইমতিয়াজ পাভেল (২৪)। ছিনতাই মামলার আসামি টাঙ্গাইলের তারটিয়া এলাকার রাজ্জাক শেখের ছেলে স্বপন শেখ (৪০) ও সুনামগঞ্জের জলোশা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে আয়াতুল্লাহ (৩৯)। হলি আর্টিজান হামলা মামলার আসামি নরসিংদীর নলভাটা এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে মো. জিন্নাহ (২৮) ও নওগার কাঞ্চনপুর এলাকার আ. সালামের ছেলে আসলাম হোসেন মোহন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আফজাল হোসেন (৬৩)।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কারাগারের বন্দিরা মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। কিছু বন্দি কারারক্ষীদের জিম্মি করেন। এসময় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় কারাগারের ভেতরে। মই দিয়ে ও ওয়াল টপকে বন্দিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময়ে কারা রক্ষীরা বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সেসময় কারা রক্ষীরা নিরাপত্তার স্বার্থে গুলি ছুঁড়ে। এতে ছয় বন্দি নিহত হয়েছেন। পরে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে কারাগারে এসে পৌঁছায় সেনাবাহিনীর কয়েকটি টিম।
সূত্র আরও জানায়, নিহতদের মরদেহ মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ২০৯ জন বন্দি পালিয়ে গেছেন।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, নাম-ঠিকানা রেখে স্বজনদের অনুরোধে মরদেহগুলো দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) কারাগার থেকে পালানোর সময় ইনকাউন্টারে ৬ জন মারা গেছেন। এছাড়া কারাগারের ওয়াল (দেয়াল) টপকে এবং দাঙ্গা করে বেরিয়ে গেছেন ২০৯ জন বন্দি। এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কারাগারের পরিবেশ স্বাভাবিক আছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।