বিনোদন ডেস্ক : কাপুর পরিবারের রীতি ভেঙেছিলেন বড় মেয়ে করিশ্মা কাপুর। একটা সময় পর্যন্ত এই পরিবারে কোনও নারী সদস্য, হোক সে কন্যা বা পুত্রবধূ, অভিনয় জগতে যুক্ত থাকেননি। এমনকি যাঁরা এক সময় ছিলেন নামী অভিনেত্রী, তারাও কাপুর পরিবারে বিয়ের পর অভিনয় থেকে সরে দাঁড়ান। সেটাই ছিল কাপুরদের অলিখিত নিয়ম। কিন্তু সেই প্রথা ভেঙে ইতিহাস গড়েন করিশ্মা। পরিবারের অমতে হলেও তিনি অভিনয়কে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
অভিনেতা রণধীর কাপুর ও অভিনেত্রী ববিতা কাপুরের বড় মেয়ে করিশ্মার বলিউডে পথচলা ছিল মোটেই সহজ নয়। তারকা-সন্তান হয়েও কাজ পেতে সমস্যা হচ্ছিল। ইন্ডাস্ট্রির একাংশ তাঁকে একেবারে কোণঠাসা করে রেখেছিল। করিশ্মার সংগ্রামের এই অধ্যায় সামনে থেকে দেখেছিলেন তাঁর ছোট বোন কারিনা কাপুর। তখন কারিনা অনেকটাই ছোট।
দেখতেন, তাঁর প্রিয় দিদি সারা রাত কাঁদতেন। মা ববিতার কাছে গিয়ে অসহায়ভাবে বলতেন, কেউ তাঁকে অভিনয়ের সুযোগ দিচ্ছে না, সবাই তাঁকে অবহেলা করছে। ছোট বোন কারিনা তখন কিছুই করতে পারতেন না। শুধু দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে দিদির কান্নার শব্দ শুনতেন নিঃশব্দে।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে কারিনা হয়ে ওঠেন করিশ্মার সবচেয়ে বড় সঙ্গী। দিদির জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়—বিবাহবিচ্ছেদের পর—কারিনাই ছিলেন তাঁর সবচেয়ে বড় ভরসা। এক মুহূর্তের জন্যও তাঁকে একা হতে দেননি। কারিনা নিজেই একবার বলেছিলেন, “দিদিকে শুধু কাঁদতেই দেখতাম। আমি তখন কিছু করতে পারতাম না। খুব খারাপ লাগত আমার।”
যদিও ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই করিশ্মাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন, শেষ পর্যন্ত কেউ সফল হননি। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডে রাজ করেছেন তিনি। জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন। ‘রাজা বাবু’, ‘জিগর’, ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’র মতো একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি করিশ্মা পা দিয়েছেন ৫০ বছরে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।