আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিপাইনে কলেজের পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের ‘প্রতারণা-বিরোধী টুপি’ পরার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে অদ্ভূত এই টুপি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনাও করছেন। সম্প্রতি বিবিসি সহ একাধিক ব্রিটিশ গনমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, ফিলিপাইনের লেগাজপি শহরের একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাথায় টুপি পরতে বলা হয়েছিল; যা তাদের পাশে বসা শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র দেখতে বাধা দেবে। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই কার্ডবোর্ড, ডিমের বাক্স এবং অন্যান্য পুরোনো জিনিসপত্র ব্যবহার করে মাথায় পরা টুপি বানায়জাচলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দেশটির বিকোল ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীরা অদ্ভূত এই প্রতারণা-বিরোধী টুপি মাথায় পরে পরীক্ষা দিয়েছে। অনেকে দুই চোখে কাগজের তৈরি লম্বা পাইপ পরেও পরীক্ষা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলেছে, তারা অসৎ কোনও উদ্দেশ্যে এটা করেনি। বরং শিক্ষকদের নির্দেশ অনুযায়ী মজার ছলে তারা এই কাজ করেছে।
সকলে মূলত মজার চলেই কাজটি করেছিলেন। বিকোল ইউনিভার্সিটি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ম্যারি জয় ম্যান্ডেন-ওর্তিজ জানিয়েছেন , এই ধারণাটি আসলেই ফলপ্রসূ হয়েছে।ম্যারি জয় বলেন, তিনি প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদের কাগজ ব্যবহার না করে একেবারে সাধারণ নকশায় টুপি বানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। কয়েক বছর আগে থাইল্যান্ডের একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত একই ধরনের কৌশলে উদ্বুদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের তিনি ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালে ব্যাংকের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর প্রায় একই ধরনের টুপি পরে পরীক্ষা দেওয়ার ছবি ভাইরাল হয়েছিল। ব্যাংককের শিক্ষার্থীদের কানের পাশে কাগজ বেঁধে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়। যা পাশের শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র দেখায় বাধা দেয় তাদের।
অভিনব এই পদ্ধতির কারণে অনেক শিক্ষার্থীই নির্ধারিত সময়ের আগে পরীক্ষা শেষ করেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ম্যারি জয়। এছাড়া কোনও শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে প্রতারণাও করেনি বলে জানিয়েছেন তিনি
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।