খেলাধুলা ডেস্ক : ২০১৪ সাল থেকে পাঁচবার ফিফা ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে খেলে কখনও হারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। বুধবার কাতারের দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামেও তাদের হাতে উঠলো ট্রফি। এই প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড ছয়ে নিলো স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
পাচুকার বিপক্ষে কিলিয়ান এমবাপ্পের নৈপুণ্যে ৩-০ গোলে জিতে দুই বছর পর এই ট্রফি হাতে নিলো রিয়াল। তাতে করে কার্লো আনচেলত্তি ক্লাবটির সবচেয়ে সফল কোচের মর্যাদা আদায় করলেন। রিয়ালের হয়ে এদিন ইতালিয়ান কোচ জিতলেন ১৫তম ট্রফি। ২০১৩ থেকে ২০১৫ এবং ২০২১ থেকে এ পর্যন্ত তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, দুটি লা লিগা, দুটি কোপা আমেরিকা, দুটি কোপা দেল রে, দুটি স্প্যানিশ সুপার কোপা, তিনটি উয়েফা সুপার কাপ, দুটি বিশ্বকাপ এবং এখন ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ।
ডন কার্লো আগের লিজেন্ডারি মাদ্রিদ কোচ মিগুয়েল মুনোজকে পেছনে ফেললেন। ১৯৬০ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দুটি ইউরোপিয়ান কাপ, ৯টি লিগ, দুটি কোপা দেল রে ও একটি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতেছিলেন মুনোজ।
মেক্সিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এমবাপ্পে ছাড়াও গোল পেয়েছেন রদ্রিগো ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। কাতারে একপেশে লড়াই করে জিতেছে রিয়াল। কখনও কখনও প্রতিপক্ষ কাউন্টার অ্যাটাক থেকে তাদের হুমকি দিলেও হতাশ করেনি দল।
৩৭তম মিনিটে চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ীরা দলগত চেষ্টায় গোলমুখ খোলে। জুড বেলিংহ্যাম পাস দেন ভিনিসিয়ুসকে। এই ব্রাজিলিয়ান গোলকিপারকে পেছনে ফেলে এমবাপ্পেকে দিয়ে সহজ গোল করান।
এমবাপ্পের অ্যাসিস্টে ৫২তম মিনিটে রদ্রিগো ব্যবধান আরও বাড়ান। দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডানপায়ের উঁচু ও কোনাকুনি শটে জাল কাঁপান তিনি।
ওসামা ইদ্রিসি বক্সের মধ্যে রিয়াল অধিনায়ক লুকাস ভাসকেসকে ফাউল করলে পেনাল্টি থেকে ৮৩তম মিনিটে গোল করেন ভিনিসিয়ুস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।